রাজশাহীর বাগমারায় ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গড়ে ওঠা অবৈধ ইটভাটাগুলো গুড়িয়ে দিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন রাজশাহীর পরিবেশ অধিপ্তরের কর্মকর্তারা।
বুধবার বেলা সাড়ে দশ ঘটিকার দিকে রাজশাহীর পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বাগমারায় আসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করার জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহামুদুল হাসানকে নির্দেশ দেন।
জরিমানা ছাড়াই গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে অবৈধ ইটভাটাগুলো। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছিল । জানা যায়, গত সপ্তাহে স্থানীয় ও জাতীয় একাধিক পত্রিকায় বাগমারায় অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে রাজশাহীর পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহামুদুল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট, থান পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, বুলড্রেজার মেশিন দিয়ে উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের কানাইশহরে মাসুম মৃধা ও একই ইউনিয়নের বামনীগ্রামে দুলাল হোসেনের অবৈধ ড্রামচিমনীর ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়।
এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতের দলটি উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের দামনাশ গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও একই ইউনিয়নের সুতিয়াপাড়া (দেওপাড়া) গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও বাবুল হোসেনের অবৈধ ড্রামচিমনির ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়। উপজেলার সকল অবৈধ ড্রাম চিমনির ইটভাটাগুলো গুড়িয়ে দেয়া হবে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান জানিয়েছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় রাজশাহীর পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহামুদুল হাসান জানান, সকল থেকেই অবৈধ ড্রামচিমনির ইটভাটা গুলোতে অভিযান চলছে।
অভিযানে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত দুইটি ইউনিয়নের ৫টি অবৈধ ড্রাম চিমনির ভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রাত পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি সংবাদ কর্মীদের জানিয়েছেন।