হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় হয়েছে। শেষ সময়ে বিদায়ী ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে যে দায়িত্ব পেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি কাজ করেছি’। বিদায়ী ভাষণে কার্যত নিজের চার বছরের সাফল্যের তুলে ধরেন তিনি।
মঙ্গলবার হোয়াউট হাউসে শেষ কর্মদিবসে ২০ মিনিটের একটি বিদায়ী ভাষণ দেন ট্রাম্প। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেই ভাষণ পোস্ট করেছেন। বিদায়ী ভাষণে ট্রাম্প দাবি করেন, বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক অগ্রগতি তার হাতেই হয়েছে।
ভিডিওবার্তায় ট্রাম্প জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউজে শেষ কয়েক ঘণ্টা স্বেচ্ছায় একাই কাটিয়েছেন বলে তিনি। বলেন, সমালোচনা এড়াতে সহজ পথ তার লক্ষ্য ছিল না কখনো।
সম্প্রতি মার্কিন পার্লামেন্টে হামলাকে সহিংসতা উল্লেখ করে এর নিন্দা জানান তিনি। এছাড়া ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক মাধ্যমে তাকে নিষিদ্ধ করাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
বিদায়ী ভাষণে পরবর্তী সরকারের শুভকামনা জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে ভাষণের কোথাও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
এর আগে এমন নজিরবিহীনভাবে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিতর্ক নিয়ে হোয়াইট হাউজ ছাড়তে হয়নি। ‘অ্যামেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ স্লোগানে ২০১৬ সালের নির্বাচন জিতে আসা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশের প্রশাসনকেই কার্যত এলোমেলো করে রেখে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে ‘প্রায় সব চ্যালেঞ্জ’ নিয়েই অভিষেক হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট যোশেফ রবিনেড বাইডেনের। আজ ২০ জানুয়ারি বাইডেন আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিবেন।
বুধবার একটি ‘নতুন প্রশাসন’ আসবে ট্রাম্প তা মেনে নেওয়া সত্বেও নিজের পরাজয় মেনে নিতে বা বাইডেনকে অভিনন্দন জানাতে অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্প শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ১৬০ বছরের মার্কিন ঐতিহ্য উপেক্ষা করে ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।