মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক জোরদার হচ্ছে।
অভ্যুত্থানের তৃতীয় দিনে ধীরে ধীরে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ইয়াঙ্গুনে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গণপ্রতিবাদে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা অমঙ্গল দূর হবে বলে শ্লোগান দেন। রীতি অনুযায়ী অমঙ্গল দূর করতে হাঁড়ি-পাতিল বাজান তারা।
এদিন রাতে মোমবাতি জ্বালানো, রান্নার পাত্র এবং গাড়ির হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাসিন্দারা।
দেশটিতে ঐতিহ্যগতভাবে ধাতব বালতি বাজানোর মাধ্যমে শয়তানের আত্মা তাড়ানোর প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এদিকে মিয়ানমারের ৩০টি শহরের ৭০ হাসপাতাল ও চিকিৎসা বিভাগের কর্মীরা বুধবার কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
দেশটির বড় শহরগুলোর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের চিকিৎসক, ফিজিশিয়ানসহ সেবাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অনেকেই তাদের চাকরি ছেড়েছেন। অনেক চিকিৎসক রোগীর কথা বিবেচনায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তারা জান্তা সরকারের নতুন মন্ত্রীসভাকে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে তারা রেড রিবন মুভমেন্ট মিয়ানমার ২০২০ নামে কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে।
অনলাইন কিংবা অফলাইনে এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দারাও। তারা নিজেদের প্রোফাইল পিকচার বদলে লাল করেছে কিংবা তিন আঙুল দিয়ে স্যালুট দিয়েছে।
এই কর্মসূচিটি মূলত সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবসা এবং সেবা পরিহার কর্মসূচি।
সোমবার ভোরে নির্বাচিত সরকারকে হাটিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
দেশটির ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চিসহ তাদের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দকে আটক করা হয়েছে।