অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর টেলিভিশনের দেয়া প্রথম ভাষণে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইং বলেছেন, তার সরকার মিয়ানমারের চলমান বিদেশনীতিতে কোনো পরিবর্তন আনবে না।
রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে যে চুক্তি আছে তাতেও কোন প্রভাব পড়বে না। যদিও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি তিনি তার ভাষণে উল্লেখ করেননি।
মিন অং লাইং বলেন, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী যেভাবে গৃহহীন লোকজনকে বাংলাদেশ থেকে ফেরত নেওয়ার কথা ছিল সেটা চলতে থাকবে।
এই ভাষণের পুরো কপি ছাপা হয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে।
ভাষণের বেশিরভাগ জুড়েই অবশ্য নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পক্ষে সাফাই দিয়েছেন জেনারেল অং লাইং।
রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ইস্যুতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অস্থায়ী শিবিরে যেসব বাস্তুচ্যুত লোকজন রয়েছে তাদের পুনর্বাসনের কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের সাথে চুক্তি আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে তিনি বলেছেন যদি তা দেশের স্বার্থের কোনো ক্ষতি না করে।
বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা গ্রহণযোগ্য, ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব অনুযায়ী তাদের ফেরার অনুমোদন দেয়া হবে।
এ দিকে মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ শুরু হয়েেছে। বড় সমাবেশ ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দেশটির সেনাবাহিনী। তবে তা উপেক্ষা করে ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
মঙ্গলবার সকালে ইয়াঙ্গুনের স্যুল প্যাগোডা এলাকায় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করেন। সেখানে এক হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত হয়েছেন বলে একজন বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন।
মিয়ানমারে কয়েকটি শহরে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কারফিউ ও মার্শাল ল জারি করা হয়েছে। এসব উপেক্ষা করে রাস্তায় নামছেন মানুষ। অং সান সু চিসহ রাজবন্দিদের মুক্তি ও সেনা শাসনের অবসানের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা। সূত্র: বিবিসি বাংলা।