ফলোঅন এড়াতে মুশফিকের ওপর ভরসা রেখে টিভি সেটের সামনে বসেছিল টাইগার সমর্থকরা। সাতসকালে মিঠুনকে হারিয়ে মি. ডিপেন্টেবলের ওপর ডিপেন্ড করা ছাড়া তেমন উপায়ও ছিল না।
তামিম, সৌম্য, মুমিনুলরা তো গতকালই ব্যর্থ হয়েছেন। নিজের ইনিংসটাকে ফিফটি অবধি নিয়ে গেলেও এদিন ভরসার প্রতিদান দিতে পারেননি মুশফিক।
মিঠুন আউট হওয়ার পরপরই ব্যক্তিগত ৫৪ রানের মাথায় রাহকিম কর্নওয়ালের শিকারে পরিণত হলেন। আজ তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই দুর্দান্ত বল করে যাচ্ছেন কর্নওয়াল। মুশফিকের আগে মিঠুনকেও ফেরান ১৪৫ কেজি ওজনের এই ক্যারিবীয় দানব।
শনিবার দিনের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন কর্নওয়াল। মুশফিকের ফিফটির পরপরই মিঠুনকে ফেরান এ অফব্রেক বোলার। ৮৬ বল মোকাবিলা করে ১৫ রানে সমাপ্তি ঘটে মিঠুনের ইনিংসের। জুটি ভাঙে ৭২ রানের।
এবার কর্নওয়ালের শিকার মুশফিক। ম্যাচে ৪৯.২ ওভারে বাউন্ডারির আশায় কর্নওয়ালের করা লেন্থ বলে রিভার্স সুইচ খেলেছিলেন মুশফিক। কিন্তু তা তো হলই না, লেগ স্লিপে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং দেওয়া কাইল মেয়ার্সের ক্যাচে পরিণত হন তিনি।
১০৫ বল খেলে ৫৪ রানে সমাপ্তি ঘটল মুশফিকের ইনিংসের।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান। অর্থাৎ ফলোঅন এড়াতে এখনও ৪৩ রান বাকি।
লজ্জার এ রেকর্ড থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব এখন লিটন দাস ও চট্টগ্রাম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান মিরাজের হাতে।
লিটন ইতিমধ্যে ২৩ বলে ১৪ রান জমা করেছেন। ১২ বল মোকাবিলা করে মেহেদি ব্যাট করছেন ৬ রানে।