কলকাতায় বিধানসভা নির্বাচনের খুব বেশি দেরি নেই। এরই মধ্যে কলকাতায় দল পরিবর্তনের হিড়িক পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে অনেকে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন আবার বিজেপি থেকেও কাউকে কাউকে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা যায়। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন টালি-উডের অন্যতম অভিনেতা ‘ভিঞ্চি দা’ খ্যাত রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হঠাৎ তারকাদের বিজেপিতে যোগ দেয়ার কারণ আলাপ করেছেন।
টালিউড তারকাদের বিজেপিতে যোগ দেয়া প্রসঙ্গে রুদ্রনীল বলেন, ‘হঠাৎ নয়। সবাই সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন। বলতে দ্বিধা নেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে টালিউডকে দু’হাতে সাজিয়েছিলেন। কিন্তু যাদের হাতে টালিউড পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তারা শুধু রাজনীতি করেছেন, কারো মতামতের ধার ধারেননি। বহু তারকা মুখ খুলে হুমকি শুনেছেন। আমাকেও শুনতে হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে নবান্নে বহুবার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কোনো পদক্ষেপ নেননি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। ’ সেই যন্ত্রণা-ভয়-আতঙ্ক থেকেই তারকারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছেন রুদ্রনীল। তারাও কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তা তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
জবাবে রুদ্রনীল বলেন, দুই তারকার বাড়িতে দলের দুই নেতার উপস্থিতি দেখে আমার যা মনে হয়েছে সেটাই পোস্টে লিখেছি। অস্বীকার করার উপায় নেই, মিঠুনদা আর বুম্বাদা আজীবন আদ্যোপান্ত বাঙালি। শুধুই ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে ভাবেন না। সাধারণ মানুষ থেকে ইন্ডাস্ট্রি- সবার বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বাংলায় বদল আনতে এই মানসিকতা, ব্যক্তিত্বদেরই চাইছে বিজেপি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে তারাও হয়ত আগ্রহী গেরুয়া শিবিরের দিকে। কারণ, গেরুয়া শিবির যা যা বলেছে তাই করে দেখাচ্ছে। তাই হয়ত এই যোগাযোগ। যদিও তাদের মধ্যে ঠিক কি কথা হয়েছে সেটা একমাত্র বলতে পারবেন মিঠুনদা বা বুম্বাদা। আমার অনুমান, এর আগে তারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস নিয়ে আলোচনায় বসেননি।