পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেসের ইশতেহার প্রকাশের কথা ছিল ১১ মার্চ। কিন্তু আগের দিন নন্দীগ্রামে আহত হয়ে হাসপাতালে ঠাঁই নেয়ায় তা হয়নি। অবশেষে গতকাল কালীঘাটের বাড়ি থেকেই ইশতেহার প্রকাশ করছেন তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইশতেহারে সব পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদান, শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রেডিট কার্ডসহ বেশকিছু অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
ইশতেহার প্রকাশের সময় মমতা বলেন, গত ১০ বছরে ১১০ শতাংশ কাজ করেছে তার সরকার। আবার ক্ষমতায় ফিরলে ৫ বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে। রাজ্যের নাগরিকদের মধ্যে চলমান ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘কন্যাশ্রী’ রূপশ্রীর মতো প্রকল্পগুলো চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আরও বেশকিছু নতুন প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা। রাজ্যের সব পরিবারকে ৬০০০ রুপি অনুদানের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া তফসিলিদের ক্ষেত্রে দেওয়া হবে ১২,০০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ক্রেডিট কার্ড থাকবে- এর জন্য কোনো জামিন লাগবে না। ১০ লাখ ক্রেডিট লিমিটে থাকছে ৪% সুদ। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি স্কুল-কলেজ তৈরি করা হবে। এছাড়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে- কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বাড়ছে আর্থিক সাহায্য। এখন ১ কাঠা থেকে ১ একর পর্যন্ত জমিতে কৃষকরা বার্ষিক ১০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান পাবেন। বিধবা ভাতা বেড়ে মাসিক ১ হাজার টাকা হবে। করোনার জন্য ১ বছর কাজ করা যায়নি। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে এবার বিধানসভা নির্বাচন ৮ পর্বে শুরু হবে ২৭ মার্চ, শেষ হবে ২৯ এপ্রিল আর নির্বাচনী ফল ঘোষণা করা হবে ২ মে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি আসাম, তামিলনাড়–, কেরালা ও পদুচেরিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বিজেপির মধ্যে বাড়তি তোড়জোর লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার মতো শীর্ষ নেতৃবৃন্দ পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে নেমেছেন। এবার বিজেপির লক্ষ্য একটাই- যে কোনো মূল্যে রাজ্যে সরকার গঠন করা। অন্যদিকে তৃণমূল আদাজল খেয়ে লড়াইয়ে নেমেছে- অস্তিত্ব রক্ষার জন্য।