জয়দেবপুরের কাওরাইদ রেললাইনের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ বাজার বসিয়ে সুবিধা নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। রেললাইন থেকে বাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হলে অদৃশ্য কারণে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে জয়দেবপুরের কাওরাইদ রেল স্টেশনে।
স্থানীয়রা জানান, কাওরাইদ ইউনিয়নের বাপ্তা, বেলদিয়া, সোনাব, শিমুলতলা, নয়াপাড়া, যোগীরছিট, গলদাপাড়া, হয়দেবপুর, জাহাঙ্গীপুর, নান্দিয়া সাঙ্গুইনসহ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাইথল, ডোলাবাড়ি, শহীদনগর, বড়াই, মাখল, নিগুয়ারী, সুতারচাপুরের আশপাশের লোকের সমাগম হয় কাওরাইদ বাজারে।
কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশনের ওপরে বাাজার বসিয়ে সুবিধা নিচ্ছে একটি চক্র। জীবনের ঝুঁকি থাকলেও ঝুঁকিপূর্ণ এই বাজার নিয়ে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব নেই বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। রেল বিভাগ বিভিন্ন সময় এসব বাজার উচ্ছেদ করলেও আবার অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
কাওরাইদ বাজারের ব্যবসায়ী বেলদিয়া গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, বাজারটির সামান্য দক্ষিণে রেল ষ্টেশন। রেললাইন দখল করে দীর্ঘদিন ধরে বাজার বসানো হচ্ছে। বাজারের জন্য নির্ধারিত জায়গা থাকলেও জনাকীর্ণ রেললাইনের ওপর তাদের বিক্রি ভালো হয়।
রেললাইনের ওপর থেকে বাজার সরানোর দাবিতে ২০০৯ সাল থেকে কাওরাইদ লেভেল ক্রসিং বাস্তবায়ন কমিটি আন্দোলন করে আসছে। সংগঠনের নেতা রাহাত আকন্দ জানান, মুন্নীর মৃত্যুর পর থেকেই আমরা রেল লাইনের ওপর বাজার ও অবৈধ স্থাপনা সরানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারণে দাবি বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি আরও জানান, সপ্তাহের শনিবার ও মঙ্গলবার রেললাইন দখল করে বাজার বসে। মানুষের জীবনের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে লেভেল ক্রসিং, রেললাইনের ওপর বাজার ও স্থাপনা উচ্ছেদ জরুরী।
কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কাওরাইদ রেল স্টেশন এলাকায় প্রতিদিনই বাজার বসছে। এতে রেল চলাচল নিরাপত্তা হুমকিতে। বাজার সরানোর চেষ্টা করছি। আমার কথা শুনছেন না কেউ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (পূর্ব) কংকন চাকমা বলেন, জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে।