রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ধানের জমিতে পানি না পেয়ে রাগ-ক্ষোভ আর অভিমানে দুই আদিবাসী কৃষক বিষপানে আত্নহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় উপকরণ-১ অধিশাখা হতে গত ২৭ মার্চ সিনিয়র সহকারী সচিব তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ প্রদান করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, গত ২৪ মার্চ একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে ‘জমিতে পানি দেয়নি পাম্প অপারেটর, ক্ষোভে কৃষকের আত্মহত্যা’ এবং ২৭ মার্চ ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় প্রকাশিত “সেচের পানি না পেয়ে বিষপান: আরেক কৃষকের মৃত্যু” শীর্ষক সংবাদ দু’টি-তে প্রকাশিত কৃষক দু’জনের মৃত্যুর কারণ এবং সেচের পানি সময়মতো না পাওয়ার কারণ উদঘাটন করে সরেজমিন তদন্ত করে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ কমিটি গঠন করা হলো।
এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবু জুবাইর হোসেন বাবুলকে।
অপর তিন সদস্য হলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক, রাজশাহী প্রতিনিধি, বিএডিসি’র নাটোর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) সাজ্জাদ হোসেন ও বিএমডিএ’র নওগাঁ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সমশের আলী।
তদন্ত কমিটিকে ঘটনাস্থল সরেজমিন তদন্ত করে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ মার্চ গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নের নিমঘুটু গ্রামের দুই সাওতাল কৃষক অভিনাথ ও রবি তাদের ধানের জমিতে বিএমডিএর গভীর নলকূপের পানি না পেয়ে কীটনাশক পান করেন। ওইদিনই অভিনাথ মারা যান। আর গত ২৫ মার্চ রাতে অভিনাথ মারান্ডির চাচাতো ভাই রবি মারান্ডিও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে বিএমডিএ’র অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনকে আসামি করে।