জেলার হরিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূট্টাক্ষেত গুলো এক ধরণের বিরল প্রকৃতির রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূট্টা চাষীরা।
রোগের লক্ষন বর্ণনা করে উপজেলার সিংহাড়ী গ্রামের ভূট্টা চাষী মোঃ জয়নাল আবেদীন এর ছেলে মোঃ সেলিম রেজা বলেন যে, জীবন্ত ভূট্টা গাছের গোড়াসহ শিকর পঁচে গিয়ে গাছ মারা যায় এবং অপরিপক্ক ভূট্টার মোচা ঝুলে পড়ে এবং শুকিয়ে যায়।
একই এলাকার আরও অন্যান্য ভূট্টা চাষীরা আশংকা করছেন যে,যদি ভূট্টা ক্ষেত গুলোর উপর এই রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকে তাহলে অত্র এলাকার ভূট্টার ফলন চরম ভাবে কমে যাবে। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায় যে হরিপুর উপজেলার ৫৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শীতকালীন ভূট্টা চাষ হয়েছে।
এ রোগবালায় সম্পর্কে হরিপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জনাব মোঃ রুবেল হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যে, জমিতে অতিরিক্ত সেচ দেওয়ার কারণে এই সমস্যার দেখা দিয়েছে।
এ রোগের প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে সকল এলাকায় এ রোগের আক্রমন দেখা দিয়েছে সে সকল এলাকার ভূট্টা ক্ষেত গুলোতে সেচ দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
যদি মাটিতে ব্যাপক ভাবে রসের অভাব দেখা যায় তাহলে প্লাবন পদ্ধতির পরিবর্তে ফোয়ারা পদ্ধতিতে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। রাসায়নিক পদ্ধতিতে এ রোগের দমন ব্যবস্হা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ছত্রাক নাশক “নাটিভো” প্রতি লিটার পানিতে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।