স্টাফ করেসপনডেন্ট ঃ রাজশাহীর বাগমারায় জাত জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া এক শিক্ষকের এমপিও বাতিল করা হয়েছে। তিনি পিরগঞ্জ টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোজাফফর হোসেন বেলাল। একই সঙ্গে নিয়োগে অনিয়ম ও এমপিও ভুক্ত করার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আইন শাখার জৈষ্ঠ সহকারী সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন ব্যাপারী এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত চিঠি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসেছে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ওয়েবসাইটেও দেয়া হয়েছে।
মোজাফফর হোসেন বেলাল দীর্ঘ তেরো বছরে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছেন। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও শাখার সহকারী পরিচালক জহুরুল ইসলাম জানান, ঐ কলেজে হিসাব বিজ্ঞান ট্রেডের অনুমোদন না থাকলেও ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ২০০৫ সালে ১০ মার্চ নিয়োগ পান। শুধু তাই নয় জাত জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হন। অদ্যাবধি তিনি সরকারি বেতন ভাতার অংশ উত্তোলন ও গ্রহণ করে আসছেন। গত বছর এক তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়ে।
সহকারী পরিচালক আরও জানান, ধরা পড়ার পর শিক্ষক মোজাফফর হোসেন বেলালের নিয়োগ,যোগদানপত্র, ট্রেড অনুমোদনের প্রমাণ চাওয়া হয়। তিনি কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি। প্রতিষ্ঠানের প্রধান কারণ দর্শানোর নোটিশ জারী করলে সেখানে তিনি সন্তোষজনক ডকুমেন্টস দেখাতে সক্ষম হননি। পরে এমপিও কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ৭ নবেম্বর মন্ত্রণালয় তাঁর এমপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষকের নিয়োগ ও এমপিও ভুক্তিরমতো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ জানান, পূর্ববর্তী অধ্যক্ষ শামসুল হকের সময় তিনি নিয়োগ পান। তিনি সম্প্রতি মৃত্যু বরণ করেছেন। এছাড়াও কলেজের সভাপতি ছিলেন তৎকালীন ইউএনও তাঁরাই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, পিরগঞ্জ কলেজে হিসাববিজ্ঞান ট্রেড নেই। শুধু কম্পিউটার এবং সাঁটলিপির ট্রেড আছে। হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হিসাবে বেতন কোড অনুযায়ী তিনি তেরো বছরে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা তসরূপ করেছেন।অভিযুক্ত প্রভাষক মোজাফফর হোসেন বেলালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাঁরা নিয়োগ দিয়েছেন এবং এমপিওভুক্ত করেছেন, তাঁরাই এ বিষয়ে বলতে পারবেন। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, যদি ট্রেড অনুমোদন না থাকে তাহলে কীভাবে নিয়োগ প্রদান এবং এমপিওভুক্ত করা হলো? রবিবার বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেহ অভিযোগ দেয়নি বা অবগত করাননি।