নিজস্ব প্রতিবেদক:মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার বালুচরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন টেটাবিদ্ধসহ ২৪ জন আহত হয়েছেন। এসময় বেশকিছু বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ৯ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে।
অপর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা শুরু হয়।
চার ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে জসিম মোল্লা (২৮), আসাদ মোল্লা (৪৫), জামাল মোল্লা (৫০), মাসুম (৪০), খোকন সরকার (৪৫), আক্তার মুন্সী (২৮), জাকারিয়া (২২), আক্তার মোল্লা (২৮), মজিবর মুন্সী (৫৫), মোক্তার হোসেনসহ ২৪জন আহত হন।
বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নুরু বাউল ও নাছির মোল্লা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত ২০ আগস্ট নাসির মোল্লা গ্রুপের তকদির মোল্লা নামে এক সমর্থক টেঁটা বিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ঘটনায় আওলাদ মোল্লা বাদী হয়ে ৬০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যা মামলার ৩৪ জন আসামি গ্রেপ্তার হলে ২৭ জন আসামি গত ১৯শে অক্টোবর জামিন পান। পরে তারা ওই দিন সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়।
এর জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফের টেটাযুদ্ধ শুরু হয়। এতে দুই গ্রুপের ১০ জন টেটাবিদ্ধসহ ২৪ জন আহত হয়।
এতে নাছির গ্রুপের বেশ কিছু বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে সিরাজদিখান থানা পুলিশ সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে শ্রীনগর ও টঙ্গিবাড়ি থানা পুলিশের সহায়তায় বেলা ১১ টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসময় দুইজনকে আটক ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ শতাধিক টেটা উদ্ধার করা হয়।
দুপুরে দোসরপাড়া মুন্সীবাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পুলিশকে জানালে ওই এলাকায় কোনো পুলিশ যায়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সিরাজদিখান সার্কেল সিনিয়র এএসপি আসাদুজ্জামান জানান, ‘সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও টঙ্গিবাড়ি থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ মোতায়েন আছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ সমস্যা তাদের পূর্ব পুরুষদের সময় থেকে।’