গিন্নি আছে বোনের বাড়ি
বাবা-মা গিয়েছে দেশে।
ভাই-বোন-জগাই-মাধাই
কেউ নাই আশে পাশে!
প্রতিবেশী অনতিদূরে
তবু তা এক অন্তরীপ।
শহুরে বাড়ি এমনই হয়
যেন এক একটি দ্বীপ!
পুরো বাড়ি মহা ভুতুড়ে
নিরব নিস্তব্ধ ফাঁকা!
দরজায় বসা নীরব জগলু
ভাবলেশহীন একা!
নীল আকাশে ভাসা মেঘ,
ডালে পাখির কলতান!
গাছ গাছালি বাতাসে দুলছে
আঁচিলগুলো নিস্প্রাণ!
ফুলে ফুলে মৌমাছি
গুঞ্জরন লাগছে বেশ!
প্রজাপতি ডানায় ডানায়
ঢেউ তুলে অনিমেষ!
হাজার ফুলের হাসি দেখে
ভরে যায় জগলুর মন!
বাতাসে নাচে মাধবী-করবী
বৃথা এ মধুর এ ক্ষণ!
খানিক পরে একাকীত্ব শুরু,
সব প্রিয়জনের তরে !
সন্ন্যাসী বিনা যে একাকী,
সে ছন্নছাড়া নড়বড়ে!
দু’টি প্রহর কোনমতে কেটেছে
অতঃপর পেটে পড়েছে টান!
ফুল পাখি মেঘের গান
ক্রমেই হচ্ছে ম্লান!
ভাত রান্না বেজায় কষ্ট,
মাড় গলানো ঝামেলা!
রুটির সাথে ডিমই ভালো
যেহেতু গ্যাসের চুলা!
প্রথমে পানিতে গলিল আটা
চালান হলো ডাষ্টবিনে!
তারপর রুটি হলো বটে
অ্যামিবার মত গঠনে!
স্যাকাটা কতো ঝামেলা
আগে ভাবেনি কোনদিন!
দু’খানা তো পুড়ে ছাই;
যার জায়গা ডাষ্টবিন!
আধা সিদ্ধ পোড়া রুটি
তরল ডিম ভাজি জম্পেশ!
চা বড্ড পানসে হলেও
মিষ্টি হয়েছিলো বেশ!
গিন্নী ছাড়া আধমরা জগলু
এক বেলা তো কাটে না!
তাই সে বলে এক গিন্নীতে
বোকা জগলুর চলে না!
কাব্যগ্রন্থঃ আপন-ছায়া
শাওনাজ ভবন, ঢাকা।
২২ জুলাই ২০২০