রাজধানীর পল্লবী থানায় বিস্ফোরণে চার পুলিশসহ পাঁচজন আহতের ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই ফারুক হোসেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আজ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে। মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো তিন আসামি রফিকুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন ও শহিদুল ইসলামকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে গতকাল রাত থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এদিকে, পল্লবী থানায় বিস্ফোরণে ৫ জন আহতের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. শাহ আবিদ হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) মো. ওয়ালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, মিরপুরের পল্লবী থানায় আসামি গ্রেপ্তারের পর বিস্ফোরণের ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই তদন্ত কমিটির প্রধান যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম)। মিরপুর শাহ আলী জোনের একজন এ কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দু’জন এসিকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন বুধবার বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তিনজন সন্ত্রাসী আটক করার সময় দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি ও একটি ডিজিটাল ওয়েট মেশিনসহ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় সকালে ডিউটি অফিসারের রুমে থাকা মালামালগুলোর মধ্যে থেকে বিকট শব্দে ওয়েট মেশিনের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে থাকা চার পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন থানায় আসা সাধারণ মানুষ আহত হন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণে থানার ডিউটি অফিসারের রুমের জানালা ও বিভিন্ন আসবাবপত্র তছনছ হয়েছে। বিস্ফোরণের পরপরই থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্কাতের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইমরান (৪৮), উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজীব (৩০) পিএসআই অঙ্কুশ (২৮) ও রুমি (২৮) এবং রিয়াজ নামে একজন সাধারণ ব্যক্তি।