আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ-১ আসন: সারা দেশে বইছে আসন্ন সংসদ নির্বাচনের হাওয়া। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দৌড়-ঝাঁপ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। সেই নির্বাচনী হাওয়াও বইতে শুরু করেছে নওগাঁর প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায়। সবকিছুর জল্পনা আর কল্পনাকে উপেক্ষা করে দেশের বড় একটি দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে। শুধুমাত্র পরিবর্তন এসেছে নওগাঁ সদর আসনে।
নওগাঁ জেলার পশ্চিমে ভারত সীমান্ত ঘেষা ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্র অঞ্চলজুড়ে অবস্থিত পোরশা, সাপাহার ও নিয়ামতপুর উপজেলা। এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-১ আসন। জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা আসন নং ৪৬।
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে যায় নবম সংসদ নির্বাচনে। পর পর দু’বার বিএনপি ক্ষমতায় না থাকায় বর্তমানে পাল্টে গেছে এই আসনের ভোটের হিসাব-নিকাশ। বর্তমান সরকারের বদৌলতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার প্রত্যন্ত অবহেলিত এই অঞ্চলে ছড়িয়ে দিয়েছেন উন্নয়নের ছোঁয়া। আধুনিক মান সম্মত যোগাযোগ ব্যবস্থা এই অঞ্চলের প্রধান দৃশ্যমান উন্নয়ন যা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে ছিলো স্বপ্ন।
জেলার তিনটি উপজেলাই ঠাঁ-ঠাঁ বরেন্দ্রভূমি। এখন উপজেলাগুলোতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। গ্রামে গ্রামে জ্বলছে বৈদ্যুতিক বাতি। সড়কের উন্নয়ন হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও হয়েছে আগের তুলনায় অনেক সহজতর ।
এ আসনে মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯ শত ২৯জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯১ হাজার ৫২ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৯৫ হাজার ৯২৭ জন।
নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় বর্তমানে আ’লীগের অবস্থান খুবই শক্তিশালী। অপরদিকে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার বিপুুল ভোটের মাধ্যমে তিনবারের নির্বাচিত বিএনপির সংসদ সদস্য ডা. ছালেক চৌধুরীকে পরাজিত করেন। এরপর দশম সংসদ নির্বাচনেও বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার জয়লাভ করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলেন নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদারের একক নাম শোনা যাচ্ছে।
নওগাঁ-২ আসন: জাতীয় সংসদের নির্বাচনী আসন নং ৪৭ ও নওগাঁ জেলার পতœীতলা ও ধামইরহাট এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-২ আসন। বিশাল আয়তনের এই দুই উপজেলাই ভারত সীমান্ত ঘেষা। উন্নত মানের ধান উৎপাদনে ও কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির উপজেলা দু’টিতে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরুদ্ধারে বিএনপি আর ধরে রাখার লড়াইয়ে আওয়ামীলীগকে ভোট যুদ্ধে নামতে হবে।
ইতিহাস ঐতিহ্য ও প্রাচীন নিদর্শনে ভরপুর এই দুই উপজেলা। ধামইরহাট উপজেলায় রয়েছে জাতীয় উদ্যান আলতাদীঘি-শালবন। ২শত ৬৪ হেক্টর জমির এই বনভূমির ঠিক মাঝখানে রয়েছে প্রায় ৪৩ একর আয়তনের বিশাল দিঘী। পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয় ২০১১ সালে এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে এই এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে। সেই সাথে এই জাতীয় উদ্যান দেখার জন্য দেশি-বিদেশী পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ।
এলাকায় মুসলিম নিদর্শন মাহী সন্তোষ (মুসলিম শাসকের টাকশাল ছিল), ভীমের পান্টি (গুরুর স্তম্ভ), সম্প্রতি উদ্ধারকৃত জগদ্দল পদ্ম মহাবিহার, আগ্রাদ্বীগুন মহাবিহার। আর পত্নীতলা উপজেলায় রয়েছে ঐতিহাসিক দিবর দীঘি ও দিব্যক জয়স্তম্ভসহ নানান নিদর্শন। পত্নীতলা -ধামইরহাট দুই উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা মোট ৩১৭৭২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫৯০২৮ জন এবং মহিলা ভোটার ১৫৮৬৯৮ জন। পত্নীতলা উপজেলায় পুরুষ ভোটার ৮৮৭০০ জন এবং মহিলা ভোটার ৮৮৫০৫ জন। ধামইরহাট উপজেলায় পুরুষ ভোটার ৭০৩২৮ জন এবং মহিলা ভোটার ৭০১৯৩ জন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলেন বর্তমান জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু এমপি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে শহীদুজ্জামান সরকার প্রথমবার এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। আবার নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির দলীয় প্রার্থী শামসুজ্জোহা খানকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত হয়েছেন।
নওগাঁ-৩ আসন: নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনটি জাতীয় সংসদের ৪৮ নম্বর নির্বাচনী এলাকা। এই আসনের বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার বা সোমপুর বৌদ্ধ বিহার বা পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার। পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব ৮ম শতকের দিকে এটি নির্মাণ করেন। ১৮৭৯ সালে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল স্থাপনা আবিষ্কার করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন বর্তমান সংসদ সদস্য মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার (সেলিম)।
জানা গেছে, নওগাঁ-৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৭৮ হাজর ১৮জন। হালনাগাদ করার পর এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে নির্বাচন অফিস থেকে জানানো হয়েছে।
মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার। তিনি ছিলেন ওই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দশম সংসদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তাকে আওয়ামীলীগ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। অবশ্য পরে তাঁকে সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হয়ে প্রথম দিকে সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদারকে অনেক সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছে। পরে তাঁকে দলীয় সদস্য পদ ফিরিয়ে দিলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার। সংসদ সদস্য হওয়ার পর এই চার বছরেই তার ব্যাপক বিত্ত বৈভব চোখে পরার মত।
নওগাঁ-৪ আসন: নওগাঁ জেলার বৃহত্তম উপজেলা মান্দা। ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৮৭০৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪১০২৩ ও মহিলা ভোটর ১৪৬০৫১ জন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলেন বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক এমপি।
ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক বর্তমান সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর এলাকায় তেমন সময় দিতে পারেন না। সেই সাথে তাঁর শারীরিক অবস্থাও খারাপ। এই সুযোগে মান্দা এলাকার হাতে গোনা গুটি কয়েক নেতা কর্মীর মাধ্যমে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে তাঁর দলীয় ভাবমূর্তি অনেকটাই প্রশ্নের মুখে। এখানে আ’লীগের দলীয় কোন্দলের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে আ’লীগের ভাবমূর্তি।
নওগাঁ-৫ আসন: নওগাঁ জেলায় প্রবেশের মুখেই নওগাঁ সদর। এরশাদ সরকারের শাসনামলে ১৯৮৪ সালে মহকুমা শহর থেকে জেলায় উন্নীত হয় নওগাঁ। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে নওগাঁ জেলা সদরের পরিধি। জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নওগাঁ-৫ (সদর) আসন। জাতীয় সংসদের নির্বাচনী আসন নং ৫০।
১২টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নওগাঁ সদর উপজেলা তথা নওগাঁ সদর-৫ আসন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩২০ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৭ জন। পৌর এলাকার ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৮০২ জন। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ২৪৬ জন পুরুষ এবং ৬৫ হাজার ৫৫৬ জন মহিলা ভোটার।
বিএনপি’র ঘাঁটি বলে খ্যাত নওগাঁয় নওগাঁ সদর আসনসহ তাদের ধ্বস নামে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে। ২০০১ সালের নির্বাচনে নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে নির্বাচিত হন বর্ষীয়ান নেতা বাংলাদেশ আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী মোঃ আব্দুল জলিল।
২০১৩ সালের মার্চে নওগাঁর বর্ষীয়ান নেতা সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী আব্দুল জলিল এমপি’র মৃত্যুর পর নওগাঁয় দলের হাল ধরেন দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল মালেক। উপ-নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে তিনি জেলা যুব লীগের সাবেক সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম রফিকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন। আব্দুল মালেক বর্তমানে সদর আসনের এমপি ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি।
অপরদিকে আব্দুল জলিলের ছেলে বয়সে তরুন রাজনীতিতে নবীন নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি করা হয়েছে। তরুন ও নতুন মুখ হিসাবে নওগাঁ সদর আসনের মানুষ চেয়ে আছেন জনের দিকে। নওগাঁ সদর আসনের মানুষ সেই হারিয়ে যাওয়া মরহুম আব্দুল জলিলের শাসন ব্যবস্থাকে তার ছেলের মাধ্যমে পুনরায় উদ্ধার করতে চায়। জলিল শুধু নওগাঁর নেতা ছিলেন না তিনি সারা বাংলাদেশের জন্য দলবল নির্বিশেষে একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিককে বিপুল ভোটে জয়ী করে জনকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করে নওগাঁ সদর আসনের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে চায় নওগাঁ সদর আসনের সাধারন মানুষরা।
নওগাঁ-৬ আসন: নওগাঁ জেলার রাণীনগর ও আত্রাই দুই উপজেলা নিয়ে নওগাঁ-৬ ও জাতীয় সংসদের ৫১ নম্বর আসনটি গঠিত। এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদ হিসাবে খ্যাত ছিলো এই আত্রাই-রাণীনগর উপজেলা। এই আসনে মুলত ভোটের লড়াই হবে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র প্রার্থীর মধ্যেই। আ’লীগের প্রার্থী চ’ড়ান্ত হলেও দ্বিধায় রয়েছে বিএনপি। এই আসনে ৩য় বারের মতো নৌকার মাঝি হলেন জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো: ইসরাফিল আলম। নওগাঁ-৬ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৯ হাজার ৩৯৭ জন।
১৪দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো: ইসরাফিল আলম বলেন, আমি গত ২০০৮ সালে বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বুলুকে পরাজিত করে ও সর্বহারা-জেএমবিদের মোকাবেলা করে প্রথম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। পরে ২০১৪ সালের ৫জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। এই জনপদের মানুষের প্রাণের দাবী ছিলো এই জনপদকে সর্বহারা-জেএমবি মুক্ত করে শান্তির বাতাস বয়ে আনা যা আমি নিজের প্রাণ বাজি রেখে করতে সক্ষম হয়েছি। এখন এই জনপদে শান্তির সুবাতাস বইছে।
আমি গত ৯ বছরে বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় এলাকার যোগাযোগের ক্ষেত্রে বেশ ভাল অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। নাগর নদীর উপর দুটি ব্রীজ, আত্রাই নদীর উপর একটি ব্রীজ, ছোট যমুনা নদীর উপর দুটি ব্রীজ অত্র এলাকায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের উন্নয়ন হয়েছে। এ ছাড়াও আমি রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অভ’তপূর্ব উন্নয়ন করেছি। রাণীনগর-আত্রাইবাসীর প্রাণের দাবি ছিল পতিসরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। কিন্তু কোন ভাবেই সেই দাবি পুরুন হয়নি। তবে পতিসরে একটি কৃষি ইনষ্টিটিউট স্থাপিত করেছি যে উন্নয়নগুলো কথা এই জনপদের মানুষ কখনো ভাবেনি। তাই আমি এবারও ১৪দলের মনোনয়ন পাবো বলে আশা করছি।