নিউজ ডেক্স :নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলা আন্দোলনের সময় বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলা সেই যুবককে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মিলহানুর রহমান নাওমি নামে ওই ছাত্রদল নেতাকে সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. সফি উদ্দিন কারাগারে নেয়ার নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন আহমেদ।
নগরীর কোতোয়ালী থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের হওয়া ওই মামলায় ২২ দিন জেল খেটে গত ১২ নভেম্বর কারাগার থেকে বের হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে নাওমিকেও একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত। সোমবার নাওমিকে আদালতে হাজির করা হয়।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টির পর গত ৫ আগস্ট কুমিল্লা জেলার বরুড়া থেকে নাওমিকে আটক করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কাছে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের মধ্যে আমীর খসরুর মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে কুমিল্লায় অবস্থানরত নওমী নামে এক ছাত্রদল কর্মীর কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এতে আমীর খসরুর কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, তিনি ওই কর্মীকে বলছেন ঢাকায় এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে।
এরপর গত ৪ আগস্ট বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
মামলায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টার অভিযোগ এনে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় জাকারিয়া দস্তগীর দাবি করেন, আমীর খসরুর উসকানির জেরে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তার কথার জেরেই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়।
ওই মামলায় হাইকোর্টের অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে গত ২১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।