মাসুদরানা রাব্বানী: নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পরেই দেশজুড়ে মাইকের ঝনঝনানি শুরু হবে। প্রার্থীর সালাম নিন, মার্কায় ভোট দিন, ভাই যোগ্য লোক, জয়ের মালা তারই হোক’-এই ধরনের নানা স্লোগান দিয়ে মাইকযোগে প্রচারণা চালানো হবে সংসদ সদস্য প্রার্থীদের পক্ষে। ফলে তখন মাইকের কদরও বাড়বে বেশ।
প্রতিটি মাইকের ভাড়া হবে ক্ষেত্রবিশেষে এক থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু নির্বাচন পার হলে এতোটা মাইকের প্রয়োজন পড়ে না। ফলে নির্বাচন ছাড়া রাজশাহী মহানগরীতে মাইকের দোকানগুলোতে মাইক সাজিয়ে রাখা হয় গুদাম ঘরে। এখনো তাই আছে। তবে গুদামে সাজিয়ে রাখা মাইকগুলোতে কোনো সমস্যা আছে কিনা-তা দেখে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজশাহীর নিউমাকের্ট এলাকার ঝংকার মাইক সার্ভিসের মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সারা বছর প্রায় বসেই থাকতে হয়। যখন কোনো নির্বাচন আসে, তখনই মাইকের কদর বাড়ে বেশি। এ কারণে নির্বাচনের সময় মাইকগুলো ঠিকঠাক রাখতে হয়। নির্বাচন কেন্দ্রিক ব্যবসা ধরতে মাইকগুলো তাই এখন থেকেই সংস্কার করে রাখছি। আশা করছি আগামী সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এবার মাইকের ব্যবসা ভালো হবে। কারণ গত নির্বাচনে রাজশাহীর ৪টি আসনে নির্বাচনই হয়নি।
ফলে মাইকের প্রয়োজন পড়েনি তেমন। তবে এবার মনে হচ্ছে উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট হবে। এটি হলে মাইকের চাহিদাও বাড়বে প্রচুর। তখন ব্যবসাও ভালো হবে। নগরীর অনিক মাইক সার্ভিসের মালিক জালাল বলেন, নির্বাচন হলে মাইকের চাহিদা খুব বেড়ে যায়। তাই কোনো মাইকের সমস্যা আছে কিনা-তা দেখে নিচ্ছি এখনই। কারণ প্রচারণা শুরু হলে সময় পাবো না তখন।