ছাতকে নুরুল্লাপুর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পুলিন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিব, মহাপরিচালক মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, উপপরিচালক মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, চেয়ারম্যান দুনীতি দমন কমিশন সেগুন বাগিচা ঢাকা, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা, গোয়েন্দা সংস্থা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য সুন্দর আলী, হাবিবুর রহমান ও শেখ ফরিদ আহমদ বাদী হয়ে এই অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, গত ৫ জুন দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতার কক্ষে বসে নুরুল্লা পুর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম তার নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য বারবার পকেট কমিটি গঠন করে অনিয়ম ও দুর্নীতির পাহাড় তৈরি করেছেন বলে এলাকাবাসী এসব অভিযোগ করেন।
তার কাগজপত্রাদি পরীক্ষা করলে ও নানা দুনীতির অনিয়মের প্রমাণ রেরিয়ে আসবে বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন প্রক্রিয়া মাদ্রাসায় করার কথা থাকলে সুপার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কমকতা পুলিন চন্দ্র রায় সরকারি নিয়মনীতি তা ও মানেনি। মাদ্রাসার সুপারের কুপরামর্শে এ পকেট কমিটি গঠন করা হয়।
মাদ্রাসা কমিটি সভাপতি নিবাচিত করার এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, সুপার স্বজনপ্রীতি করে একটি পকেট কমিটি গঠন করে শান্ত পবিবেশকে অশান্ত তোলা হচ্ছে।
এ ছাড়া সুপার মাদ্রাসায় যোগদান করার পর মাদ্রাসায় তেমন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। এমনকি বিভিন্ন সময়ে আসা বরাদ্দ-অনুদানের টাকাও ব্যয় করা হয়নি উন্নয়নে। কাগজ-কলমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও উপবৃত্তির তালিকাতেও নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে সুপারের বিরুদ্ধে।
অনিয়মকৃত ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করে পূনরায় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করার দাবীতে এলাকাবাসির লোকজন এসব লিখিত অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরের দায়ের করেন।
এ পকেট কমিটি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে নুরুল্লাপুর গ্রামে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সুন্দর আলী জানান, এবারের কমিটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। সুপার মনগড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি পকেট কমিটি করে গ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করেছেন দুনীতিবাজ সুপার।