নিহত ২৬ জনের পরিচয় শনাক্ত, স্বজনদের খোঁজে আজও ভিড়


, আপডেট করা হয়েছে : 07-06-2022

নিহত ২৬ জনের পরিচয় শনাক্ত, স্বজনদের খোঁজে আজও ভিড়

বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে মঙ্গলবারও হাসপাতালে ভিড় করেছেন তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনেরা। 

চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ার সেন্টারের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম চালানো হয়। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজটি করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত ২২ জনের খোঁজে ৩৯ জন নমুনা দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে দুটি লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা। পরে লাশ দুটি চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

এ নিয়ে উদ্ধার লাশের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৩। তবে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ২৬ জনের লাশ। এসব লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২৬টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এসব লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। নমুনার ফলাফল পেতে অন্তত এক মাস সময় লাগতে পারে। ততোদিন পর্যন্ত লাশগুলো চমেক হাসপাতালের ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা হবে।’

দ্বিতীয়দিনের মতো মঙ্গলবারও চমেক হাসপাতালের সামনে নিখোঁজদের সন্ধানে ভিড় করতে দেখা যায় স্বজনদের। অনেকেই অবস্থান করেছেন নিখোঁজদের ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে। নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির পিতা-মাতা, সন্তান অথবা ভাইয়ের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি সদস্যরা।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক ল্যাব) রুমানা আক্তার যুগান্তরকে বলেন, এখন পর্যন্ত ২২ জনের সন্ধানে ৩৯ জন স্বজনের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সাধারণত ব্লাড থেকে ডিএনএ নমুনার ফল পেতে সহজ হয়। কিন্তু পোড়া লাশের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে চুল, দাঁত কিংবা হাঁড়ের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর ফলাফল পেতে কমপক্ষে এক মাস সময় লেগে যেতে পারে।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার