রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামছুজ্জোহা হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার কক্ষ থেকে তার জিনিসপত্রসহ তাঁকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে হল প্রশাসন তাকে আবার হলে তুলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মাহতাব উদ্দীন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ এবং শহীদ শামছুজ্জোহা হলের ৩২৬ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মো: মোমিন ইসলাম। তিনি শহীদ শামছুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক । তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু অনুসারী বলে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, তিনি ওই হলের ১৫৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। সম্প্রতি হল প্রাধ্যক্ষ তাঁকে ৩২৬ নম্বর কক্ষ পুনরায় বরাদ্দ দেন। গতকাল বুধবার বিকেল থেকেই ওই কক্ষে অবস্থান করছিলেন তিনি। হঠাৎ আজ দুপুরে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিন ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে বের করে দিয়ে ছাত্রলীগের আরেক নেতাকে কক্ষে তুলে দেন। এ সময় মাহতাবের বিছানাপত্রও বারান্দায় ফেলে দেন তাঁরা।
শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ ইকরামুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। মাহতাবকে তাঁর বরাদ্দ পাওয়া আসনে তুলে দিয়েছি।’
ছাত্রলীগ নেতা মোমিন ইসলাম বলেন,অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কাউকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়নি। হল প্রাধ্যক্ষ একজনকে বরাদ্দ দিতে গিয়ে কক্ষটি অন্যজনকে বরাদ্দ দিয়েছেন। যাঁকে ওই কক্ষে ওঠানো হয়েছে, তাঁর আগে থেকেই আবাসিকতার কার্ড রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষ মীমাংসা করে দিয়েছেন।আমাদের একজন নেতা ওই কক্ষে অবস্থান করছিলেন। পরে তাকে নেমে যেতে বলা হয়েছে।’