এবারের এশিয়া কাপটা এখন পর্যন্ত ভুলে যাওয়ার মতোই কেটেছে বাংলাদেশের। একমাত্র আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে ধারাবাহিকতা দেখা গেছে। বাকি ম্যাচগুলোতে ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট হয়েছে বেশ ভালোভাবেই। তবে এ নিয়ে অবশ্য বেশি চিন্তার সুযোগ পাচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট।
ভারতের বিপক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর ম্যাচের পর এশিয়া কাপ থেকে ছুটি হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের। এর দুদিন পরই বাংলাদেশে চলে আসবে নিউজিল্যান্ড দল। হঠাৎ তাল হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ কিউইদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে নিতে যাচ্ছে পরীক্ষার মঞ্চ হিসেবে। সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমের মতো কয়েকজন ক্রিকেটার বিশ্রামে যেতে পারেন সিরিজে। বিশ্রাম পেতে পারেন তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলামরাও।
২৬ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে খেলে ভারতের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার প্রস্তুতি নেবে দল। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের পর দল আসল মঞ্চে খেলবে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দলের সামনে ঠাসা সূচিই। নিয়মিত ক্রিকেটারদের ধকল থেকে মুক্তি, নতুন কারও চোটে না পড়ার সাবধানতা এবং কিছু ‘অস্থিতিশীল’ পজিশনের জন্য বিকল্প দেখা—এই হচ্ছে বিশ্রামের মূলমন্ত্র।
চোটে এরই মধ্যে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে পেসার ইবাদত হোসেনের। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ মুহূর্তে নিয়মিত ক্রিকেটারদের নিয়ে ঝুঁকি না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সাকিবও, ‘আর ইনজুরি আমরা নিতে পারব না। আমাদের বেঞ্চে এমন শক্তিশালী আর নেই যে কেউ ইনজুরিতে পড়লে তার জায়গায় সহজেই আরেকজনকে নেওয়া যাবে। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সবাই যেন ফিট থাকে, সুস্থ থাকে।
তাহলে যেন আমরা অ্যাভেইলেবল ক্রিকেটারদের থেকে সেরা একাদশ বাছাই করতে পারি।’ বেঞ্চও আরেকটু পরখ করে নেওয়ার আভাস পাওয়া গেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সাকিবের সংবাদ সম্মেলনে। আলাদা করে পেসারদের নিয়ে সাকিবের চিন্তাটা বোঝা গেছে তাঁর কথায়, ‘এটা খুব জরুরি, সবাই যেন ফিট থাকে। ইবাদত নেই। আমি আশা করব, বাকি চারজনই যেন ফিট থাকে।’
তিন ম্যাচে পেসারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে। কিছু নিয়মিত ক্রিকেটার ও পেসারদের বিশ্রামে রাখার কথা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও, ‘বেশির ভাগ পেসারই হয়তো খেলবে না। ইবাদত নেই, আরেকটা পেসার যদি চোটে পড়ে, তাহলে আমাদের হাতে বিকল্প নাই।
অনেকেই আছে যারা নাকি খেলবে না, সেখানে ব্যাটাররাও আছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাই আমাদের বেশ কিছু খেলোয়াড়কে সুযোগ দেওয়ার অপশন থাকবে।’ বিশ্রাম নিয়ে আজকের পত্রিকাকে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন, ‘অনেক ধরনের চিন্তাভাবনাই আছে, যেহেতু আমাদের ঘরের মাঠে খেলা।
তবে এখনো এই সিদ্ধান্ত হয়নি যে কাকে খেলানো হবে বা হবে না। বিশ্বকাপে আমাদের অনেকগুলো ম্যাচ খেলতে হবে। ক্রিকেটাররা টানা খেলার মধ্যে আছে। সেটা বিবেচনা করে বিশ্রামের ব্যাপারে আমাদের চিন্তা আছে।’