আইন সংস্কার করা না হলে মামলার জট থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি


, আপডেট করা হয়েছে : 02-10-2023

আইন সংস্কার করা না হলে মামলার জট থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘ত্রুটি সারিয়ে যুগোপযোগী আইন করার দায়িত্ব সরকারের। সিভিল প্রসিডিউর কোড বহু দেশে আপডেট করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে তা করা হয় বহু বছর পর। এই সিভিল প্রসিডিউর কোডসহ অন্য আইনগুলো সংস্কার করা না হলে মামলার জট থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না।’


আজ রোববার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা শহরের আধুনিক স্টেডিয়ামে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


নাগরিক সমাজ এই সংবর্ধনার আয়োজন করে।


প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইনের অনেক ডালপালার কারণে একটি ছোট মামলা থেকে অনেক মামলার সৃষ্টি হয়। হিসাব হয় অনেকগুলো মামলা। মামলা মূলত একটি। একটি মামলাই জজকোর্ট থেকে হাইকোর্ট, হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যায়। এসব প্রক্রিয়ার সঙ্গে অ্যাডভোকেট, আমরা জজ সাহেবেরা ও আইন পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলে জড়িত।’


‘এ দেশের আইনের বিভিন্ন ত্রুটিসমূহ দূর করে যুগপোযোগী আইন করা সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। এখানে উপস্থিত সরকারের মন্ত্রী আছেন, সংসদ সদস্যরা আছেন। তাদের মাধ্যমে আমি সরকারকে বলব এই বিষয়গুলোর প্রতি নজর দেওয়ার জন্য। ল কমিশনের সাজেশন আমলে নিয়ে আরও অনেকগুলো আইন যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিলে মানুষে কষ্ট লাগব হবে।’ উপস্থিত সংসদ সদস্যদের এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান।


শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ওবায়দুল হাসান বলেন, একটি মোবাইল ফোন দিয়ে মুহূর্তে  বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তথ্যের আদান-প্রদান করা যায়। নানা জ্ঞান অর্জন করা যায়। মনে রাখতে হবে তথ্যপ্রযুক্তির এই আশীর্বাদ যেন আসক্তিতে পরিণত না হয়। পরিবারের অভিভাবকদের এ বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।


প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমি নেত্রকোনার সন্তান। গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করে প্রধান বিচারপতি হয়েছি। গ্রামে থেকে পড়াশোনা করেও এত বড় পদে যাওয়া যায়। আজকের এই সংবর্ধনা থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা এই অনুপ্রেরণা পাবে। এই কারণেই নাগরিক সংবর্ধনা গ্রহণে আমি আগ্রহী হয়েছি।’


নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান লিটনের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের, মোস্তফা জামান ইসলাম, সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, সাজ্জাদুল হাসান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালি, জাকিয়া পারভীন মনি, পরিকল্পনা কমিশনের সচিব এ কে এম ফজলুল হক, সিনিয়র জেলা জজ মো. শাহজাহান কবির, মোহাম্মদ ইফতেখার বিন আজিজ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গোলাম কবীর, জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ, জেলা জজকোর্টের জিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আমিরুল ইসলাম, সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় প্রমুখ।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার