নওগাঁর মান্দায় ছাগলে মরিচখেতের গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের গনেশপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই গ্রামের জায়েদুর মণ্ডলের খেতের বেশকিছু মরিচের গাছ মোল্লাপাড়া গ্রামের মুক্তার মোল্লার ছাগলে খেয়ে ফেলে। এনিয়ে ছাগল মালিক মুক্তার মোল্লার সঙ্গে খেতমালিক জায়েদুর মণ্ডলের বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। পরে উপস্থিত লোকজন তাঁদের দুজনকে হটিয়ে দেন।
জের ধরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে মুক্তার মোল্লার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জায়েদুর মণ্ডলের বাড়িতে হামলা করে। এসময় জায়েদুর মণ্ডল ও তাঁর ভাইয়েরা কেউই বাড়িতে ছিলেন না। হামলাকারীরা ফিরোজ মণ্ডলের বাড়িতে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
খেতমালিক জায়েদুর মণ্ডলের ভাই হায়দার আলী মণ্ডল বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি সতিহাটে সোহেল ট্রেডার্স নামের একটি দোকানে বসে ছিলাম। হামলাকারীরা বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে সোহেলের দোকানে আমাকে অ্যাটাক করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওই দোকান থেকে আমাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেন।’
ভুক্তভোগী ফিরোজ মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা বসতঘরে হামলা চালিয়ে সুকেস, আলমারি, ড্রেসিং টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় টাকা ও সোনার গহনা লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
তবে অভিযুক্ত মুক্তার মোল্লা বলেন, ছাগলে মরিচের গাছ খাওয়ার অভিযোগ তুলে জায়েদুর মণ্ডল ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছেন। বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
মান্দা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলে ইলাহী বলেন, সংবাদ পেয়ে সতিহাটে সোহেলের দোকান থেকে একজনকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, কী কারণে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে তদন্ত না করে তা বলা যাচ্ছে না।