নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের দাম কমতে শুরু করেছে। আজ সোমবার সকালে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে।
এর আগে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি করবে না এমন খবরে সারা দেশের মতো দৌলতপুরেও শনিবার ( ৯ডিসেম্বর) সকাল থেকে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়ে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৫০-১৬০ টাকায়। তবে গতকাল রোববার সকাল থেকে কিছুটা কমতে শুরু করে পেঁয়াজের দাম।
উপজেলার বড় পাইকারি বাজার তারাগুনিয়া ঘুরে দেখা গেছে, গত শনিবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়, যা রোববার সকালে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, পরে সন্ধ্যায় দাম কমে আরও ১০ টাকা। আজ সোমবার সকালে তারাগুনিয়ার খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যা পাইকারি বাজারে ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
আজ সোমবার সকালে উপজেলার হোসেনাবাদ বাজার থেকে আকিজ হোসেন নামের এক ক্রেতা পেঁয়াজ কেনার পর বলেন, ‘প্রতিদিন কমছে পেঁয়াজের দাম, আগের তুলনায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে পেঁয়াজের।’
মামুন হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আমি সকালে তারাগুনিয়া বাজার থেকে ১০০ টাকা কেজিতে নতুন পেঁয়াজ কিনেছি। যা শনিবারের তুলনায় বাজার দর ৬০ টাকা কমে।’
শাহিন নামের এক পেঁয়াজ বিক্রেতা জানালেন, প্রতিদিন বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে, এতে তারা পেঁয়াজ কম রাখছেন। সারা দিন যা বিক্রি করতে পারবেন তার বেশি পাইকারি বাজার থেকে তারাও কিনছেন না।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য বলছে, দৌলতপুরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০০ হেক্টর বেশি জমিতে এবার পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৫০০ হেক্টর। যা স্থানীয় পর্যায়ে পেঁয়াজের কোনো সংকট তৈরি করবে না।