দলীয় রান যখন ১ তখন শূন্য রানে আউট হন সৌম্য সরকার। এর পর একটি জুটি গড়ে উঠছিল। কিন্তু সেটির অপমৃত্যু হলো। উচ্চাভিলাষী শটে সাজঘরে ফিরলেন নাজমুল। এর পরই ফিরেছেন এনামুলও।
ইশ সোধিকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল। মোটেও সুইপ করার লেংথে ছিল না সোধির বলটি। একেবারে ফুললেংথ থেকে সেটিই করতে গিয়েছিলেন নাজমুল। নিজের উইকেটটাও দিতে হলো তাই। সপ্তম ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
আউট হওয়ার আগে মেরেছেন বোলারের মাথার ওপর দুই চার। ওভারের শেষ ২ বলে নাজমুল মেরেছেন ওই ২ চার, অভিষিক্ত উইল ও’রর্কের বলে। তরুণ কিউই পেসারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ওভারে এসেছে ১৪ রান। প্রথম পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৪৪ রান।
এর পর বেশ ভালোভাবে এগোচ্ছিলেন এর আগে জীবন পাওয়া এনামুল। লিটনের সঙ্গে জুটি আশা জোগাচ্ছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু অভিষিক্ত ক্লার্কসনের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে খাড়া ওপরে ক্যাচ তুললেন তিনি। নিজেই সে ক্যাচ নিয়েছেন ক্লার্কসন। ৩৯ বলে ৪৩ রানে থেমেছে এনামুলের ইনিংস। ৮০ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন সৌম্য সরকার। প্রায় ২ বছর পর ফেরা ম্যাচে সেই আউট হন শূন্য রানে। আর আজ একই দলের বিপক্ষে আরও একবার ওয়ানডেতেই শূন্য রানে ফিরলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। কিউই পেসার অ্যাডাম মিলনের বলে স্লিপে ক্যাচ আউট হলেন সৌম্য। ফলে ১ রানে ১ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এর আগে ল্যাথাম-ইয়ং ঝড়ে নিউজিল্যান্ড ২৩৯ রান করে। তবে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৪৫। বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের এই লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় দফা বৃষ্টি শেষে যেন পঞ্চম গিয়ারে ব্যাটিং শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটার টম ল্যাথাম ও উইল ইয়ং। তাদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে লাইন-লেন্থ ঠিক রাখতেই হিমশিম খাচ্ছিল টাইগার বোলাররা। দুজনের তাণ্ডবে শেষ ১০.৩ ওভারে কিউদের স্কোরবোর্ডে যোগ হয়েছে ১৩১ রান; আর জুটি ১৭১ রানের। ৯৩ রান করে ল্যাথাম ফিরলেও ইয়ং তুলে নিয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮৪ বলে ১০৫ রানের ইনিংস। নির্ধারিত ৩০ ওভারে নিউজিল্যান্ড থামে ২৩৯ রানে। তবে ডিএসএল পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৪৫।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার শিবির।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড মোটেও ভালো নয়। এখন পর্যন্ত ১৬ ওয়ানডে ও ৯ টি-টোয়েন্টি খেলে সবকটিতেই হেরেছে টাইগাররা।
এদিকে বাংলাদেশ দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন লিটন দাসও। নিউজিল্যান্ড দলে অভিষেক হয়েছে অলরাউন্ডার জশ ক্লার্কসন ও উইলিয়াম ও’রুর্কের।
বাংলাদেশ একাদশ
নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, এনামুল হক, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম।
নিউজিল্যান্ড একাদশ
উইল ইয়াং, রাচিন রবীন্দ্র, হেনরি নিকোলস, টম ল্যাথাম, টম ব্লান্ডেল, মার্ক চাপম্যান, জশ ক্লার্কসন, অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি, জ্যাকব ডাফি, উইলিয়াম ও’রুর্ক।