সিংড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) শফিকুল ইসলামের নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যার পর উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকের ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল। আহতদের মুখের ভাষ্য তাদের শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় হঠাৎ নৌকার প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের আস্থাভাজন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইটালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফের নির্দেশে তার মামাতো ভাই আশিক ও কাফির নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন অতর্কিত হামলা চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। পরে পুলিশ গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আর এ হামলায় আহতরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন- সাবেক মেম্বর ফরিদ আলী (৬০), জুয়েল হোসেন (৪৫), ফারুক হোসেন (৩৫), সোহাগ আলী (২৫), রনি হোসেন (৩৮), শামিম (৩৪), সালাম খান (৪৮), ছালাম আলী (৪৫)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এবিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিংড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, আমি অন্য আরেকটি জায়গায় প্রচারণা শেষে সিংড়ায় ফিরছি। যতটুকু শুনেছি শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচনি প্রচারণা শেষে ফেরার পথে আরিফ চেয়ারম্যানের নির্দেশে সাতপুকুরিয়া গ্রামে তার কর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে। এটা করে জনগণের রায়কে অন্য জায়গায় নিতে পারবে না। তিনি অভিযোগ করেন এখানে সরাসরি একটি শক্তিশালী ছত্র ছায়ায় এসব হচ্ছে।
আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আমি বিনগ্রামে নৌকার প্রচারণায় রয়েছি। এখন পর্যন্ত সাতপুকুরিয়া বাজারে যাইনি। মারামারি খবর শুনে থানায় আমি নিজেই ফোন দিয়েছি।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, নির্বাচনি প্রচারণা নিয়ে দু’পক্ষে মারামারি খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত।
এবিষয়ে নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আল ইমরান বলেন, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।