বছরের প্রথম দিনে বই পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। এখন নতুন বই বাসায় নিয়ে বাঁধায় করবো। নতুন বইয়ের ঘ্রাণটা অনেক সুন্দর। নতুন বই হাতে পেলে সারাদিনই বই নিয়ে থাকি- এভাবেই নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করছিলেন, রাজশাহী পবা উপজেলার দামকুড়াথানাধীন মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থী মো. জুনাইদ হোসেন (৭)।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ওই স্কুলে নতুন বইয়ের উ*সব শুরু হয়। স্কুলটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরাও এই উ*সবের আমেজে মেতে উঠে। নগরীর উপজেলা পর্যায়ের স্কুলগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন আমেজে পালিত হচ্ছে বই উ*সব। বিদ্যালয়গুলো ঘটা করেই শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দিচ্ছে। বছরের প্রথম দিন ঝকঝকে পাঠ্যবই হাতে পেয়ে দারুণ খুশি ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. নাজনীন নাহার বলেন, বই উ*সবকে প্রাণবন্ত করতে সকাল থেকেই আমাদের প্রস্তুতি ছিলো। সকাল শিক্ষার্থীরাও স্কুলে আসতে থাকে। ১১ টার সকাল শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ করা হয়। নতুন বই পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা।
স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নিরাবুল ইসলাম বলেন, নতুন বই মানেই উ*সবের আমেজ। সকাল থেকেই নব উচ্ছ্বাস নিয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসে। উ*সবের আমেজে মেতে উঠে।
রাজশাহী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, সকাল থেকেই স্কুলে স্কুলে বই উ*সব হচ্ছে। আনন্দমূখর পরিবেশে বই বিতরণ করা হচ্ছে।
রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারীয়া পেরেরা বলেন, সুন্দর পরিবেশে রাজশাহীতে বই উ*সব পালিতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বছরের পথম দিনে নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বাসিত।
উল্লেখ্য, রাজশাহীতে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ২০২৪ সালে সম্ভাব্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ২৮৮ জন। এসময় শিক্ষার্থীদের মাঝে ১ কোটি ৩০ লাখ ৩৬৬ টি বই বিতরণ করা হবে। রাজশাহীর ১ হাজার ৫৭ টি সরকারি ও ৮৭৮ টি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বই বিতরণ করা হবে।
মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে আজ ১৮ লাখ ১৫ হাজার ১২১ টি, এসএসসি ভোকেশনাল পর্যায়ে ৮০ হাজার ৭০০ টি, ভোকেশনাল ট্রেড ২৮ হাজার ৭০০ ও ইরেজি ভার্সনে ৪ হাজার ১০০ টি বই বিতরণ করা হবে। যা মোট বরাদ্দের ৬৪ শতাংশ, ৫৪ শতাংশ, ৪০ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশ। এছাড়া এবতেদায়ী পর্যায়ে শতভাগ ও দাখিল পর্যায়ে ৫৮ শতাংশ বই বিতরণ করা হচ্ছে।