ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা, ভাষা, সাহিত্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহসহ (মরণোত্তর) দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ‘একুশে পদক-২০২৪’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এবার ভাষা আন্দোলনে দুজন, শিল্পকলায় ১২ জন, শিক্ষায় একজন, সমাজসেবায় দুজন এবং ভাষা ও সাহিত্যে ৪ জন একুশে পদক পাচ্ছেন। মঙ্গলবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব, নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ, অভিনেতা এমএ আলমগীর, ডলি জহুর, আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফা এবং ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন।
পদকপ্রাপ্ত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন ভাষা আন্দোলনে মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)। শিল্পকলার সংগীতে জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ ও বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর)। আবৃত্তিতে রূপা চক্রবর্তী, চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আরকাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ এবং শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু। এছাড়া ভাষা ও সাহিত্যে পদক পেয়েছেন মুহাম্মদ সামাদ ও মিনার মনসুর।
নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ ৪ লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘একুশে পদক’। ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে দিয়ে থাকে।