শেষ হলো মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৩৯১.৮২ কোটি টাকা রপ্তানি আদেশ হাতে নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসরের পর্দা নামল মঙ্গলবার। এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রায় ৩৫.৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩৯১.৮২ কোটি টাকা)-এর রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে যা গত বছরের মেলায় প্রাপ্ত রপ্তানি আদেশের তুলনায় ১৭.২৫ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মেলা প্রাঙ্গণের দ্বিতীয় তলায় এক সমাপনী অনুষ্ঠানে মেলার সমাপ্তি টানা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলে। শেষ দিনে মেলার বিভিন্ন স্টলে চলছিল অফারের ছড়াছড়ি। তাই ঘোরাঘুরির চেয়ে কেনাকাটায় বেশি মনোযোগী ছিলেন ক্রেতারা। মেলার শেষ সময়ে বিভিন্ন পণ্যে মূল্যছাড় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
এবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে ২১ জানুয়ারি। ওই দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে পণ্য প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন। বরাবরই ১ জানুয়ারি থেকে এ মেলা শুরু হলেও এবার নির্বাচনের কারণে মেলা ২১ দিন পিছিয়ে যায়। মাসব্যাপী এ মেলায় এবার সব মিলিয়ে ৩৩০টি স্টল ছিল।
প্রত্যাশা পূরণ না হলেও বিক্রেতারা খুশি শেষ সময়ে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ায়।
এদিকে সময়মতো মেলা শেষ করতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আয়োজকরাও। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, আয়োজক সংস্থার প্রধান ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ২১ জানুয়ারি এ মেলা উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি পণ্য ক্রয় করেছেন। পূর্বাচলে এ মেলায় লাখো মানুষের সমাগমের পরিবেশ তৈরি করেছেন। নারীদের সংগঠন জয়ীতা সংগঠনের মাধ্যমে নানা পণ্য তৈরির ও বিপণনের ব্যবস্থা করেছেন।
রপ্তানি উন্নয়ন বিষয়ে আগামীর পরিকল্পনা হস্তশিল্পকে প্রাধান্য দেওয়া। যা ৬৮ হাজার গ্রামে এ কর্ম ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, মেলায় এবার ধানম-ির ৩২ নম্বরের বাড়ির রেপ্লিকা করে রাখা হয়েছে। যাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের আত্মত্যাগ জানুক। আগামীর মেলা দ্বিতল বিশিষ্ট করার পরিকল্পনা করেছি।