রাজশাহী জেলার তানোরে শহীদ মিনারেফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে যুবলীগ কর্মী হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৫জনকে ঢাকা ও কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো তানোর লালপুর এলাকার হাবিবুরের ছেলে হাকিম বাবু (৪৪) তার ভাই আবুল হাসান (৪২), শাহীন (২৫), একই এলাকার লুৎফরের ছেলে রাসেল (৩০), সাইদুর রহমানের ছেলে সুফিয়ান (৩৬)।
ডিএমপির মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে বাবু ও সুফিয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি তিনজনকে র্যাব-৫ এর সদস্যরা কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে পরকীয়া ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী জিয়াউল ইসলামকে খুন করা হয়েছে।
র্যাব জানায়,রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউপির বিলশহর গ্রামের সুমি খাতুনকে বেশ কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মামলার ১নং আসামী হাসান মেম্বার। এরআগে থেকেই সুমি খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল জিয়াউল ইসলামের। বিষয়টি হাসান মেম্বার বুঝতে পেরে সতর্ক করে। পরে ডিপ টিউবওয়েলের অপারেটর নিয়োগ নিয়ে উভয়ের মধ্যে শত্রুতা বেড়ে যায়। এছাড়াও হাসান মেম্বারের সার বিষের দোকানে আগুন দেয় কে-বা কারা।
এ নিয়ে মামলাও করে হাসান মেম্বার। এসকল ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২১শে ফেব্রুয়ারী রাতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে জিয়াউলকে কুপিয়ে হত্যার করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে নিহত ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে তানোর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জিয়াউলকে পরিকল্পীতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে।