আজকের দিনকে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে।
যে সেতু দিয়ে কাল থেকে শুরু হবে যান চলাচল। দক্ষিণের ১৯ জেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে দূরত্ব কমবে, বাঁচবে সময়। দ্রুত যাতায়াতের জন্য যাত্রীরা উপকৃত হবেন। দ্রুতগতি হবে পণ্য পরিবহণে। বাড়বে ব্যবসার বিস্তার।
স্বাভাবিক কারণেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য আজ এক বিশেষ উৎসবের দিন।
আর বিশেষ দিনটিকে আরও বিশেষ করে রাখল গোপালগঞ্জের ১১ কিশোর। সেতু দেখতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে সাইকেল চালিয়ে এসেছে তারা ।
অর্থাৎ বৃষ্টির মধ্যেই পিচ্ছিল পথে ৫৩ কিলোমিটার সাইকেল চালাতে হয়েছে তাদের। পদ্মা সেতুর ৮ কিলোমিটার আগে পাচ্চর এলাকায় ঝুম বৃষ্টিতে পড়েন ১১ কিশোর।
কিন্তু বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ভিজে চুপচুপ হয়েও তারা এগিয়ে গেছেন সামনের দিকে।
এই ১১ জন মুকসুদপুরের দিকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ফরহাদ শেখ, হৃদয় মোল্লা, মাহাফুজ শেখসহ আরও ৮ জন।
দলের নেতা মো. ফরহাদ শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল ৮টায় দিকনগর থেকে রওনা সাইকেলযোগে রওনা হই আমরা ১১ জন। পথে কোনো বিশ্রামই নিইনি। আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান পর্যন্ত যে করেই হোক পৌঁছাব।
দলের অপর সদস্য হৃদয় মোল্লা বলেন, যেদিন শুনেছি— ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে, সেদিনই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা ২৫ জুন সেতু দেখতে যাব। তবে পরে ১১ জন এসেছি।
দিকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মাহাফুজ শেখ জানায়, রাস্তায় বৃষ্টির জন্য কয়েকবার সমস্যা হয়েছে। কিন্তু আমরা থামিনি। আর পদ্মা সেতু দেখতে যাব শুনে বাড়ি থেকে কোনো সমস্যা করেনি। সেতু দেখতে পাব এই আশায় চলে এসেছি।