বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদযাত্রার প্রথম দিনে পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ঘণ্টাতেই রংপুর বিভাগের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।
এ নিয়ে হাহাকার দেখা গিয়েছে যাত্রীদের মধ্যে।
তবে পশ্চিমাঞ্চলের অন্য দুই বিভাগ রাজশাহী ও খুলনাতে এখনও কিছু টিকিট অবিক্রীত রয়েছে। প্রথম ঘণ্টাতে পশ্চিমাঞ্চলের ১৪ হাজার ১৫৭টি টিকেটের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১১ হাজার ৯৪০টি।
রোববার (২ জুন) সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের উত্তরবঙ্গের ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী একতা, দ্রুতযান ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের টিকেটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
এরপরই রয়েছে ঢাকা – কুড়িগ্রাম রুটের কুড়িগ্রাম ও রংপুর এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-নীলফামারী রুটের চিলাহাটি ও নীলসাগর এক্সপ্রেসের চাহিদা।
এই তিন রুটের টিকেট প্রথম দশ মিনিটেই শেষ হয়ে গেছে গতকালের মতোই।
আর ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে চলাচলকারী একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেস হওয়ায় এই রুটের টিকিটও দ্রুততম সময়ে শেষ হয়ে গেছে বরাবরের মতো।
অপরদিকে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলাচলকারী চার আন্তঃনগর- পদ্মা, সিল্কসিটি, বনলতা ও রাজশাহী এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি হতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টার মধ্যে।
আর যশোর ও খুলনা অঞ্চলের তিন আন্তঃনগর ট্রেন- বেনাপোল, সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসের টিকেট এখনও কিছু অবিক্রীত রয়েছে।
রেলওয়ে যাত্রীদের ফেসবুক গ্রুপ ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে ফ্যান গ্রুপ’ এর মধ্যে যাত্রীদের মধ্যে টিকিট প্রাপ্তি ও হতাশা নিয়ে দেখা গেছে নানা মন্তব্য করতে।
শফিকুর রহমান নামে উত্তরবঙ্গের এক যাত্রী, যিনি ঠাকুরগাঁও যাবেন। তিনি বলেন, আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে দুটি টিকিট কাটতে পেরেছি।
তবে শামীম হেসেন নামের আরেক যাত্রী লিখেছেন, টিকিট ছাড়ার আধাঘণ্টা আগে ঢুকে বসে থাকলেও টিকিট পাইনি।
সেখানে মোহাম্মদ হাসান নামে এক যাত্রী লিখেছেন, অনেকে টিকিট কাটতে পারে না নিয়ম জানে না বলে ব্যর্থতা। আমি আটটার সময় দুইটা টিকিট কাটতে পেরেছি।
অন্যদিকে বেলা দুইটায় শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রি।