ডিউটিরত অবস্থায় কনস্টেবলকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে কনস্টেবল কাওসার আহমেদ। শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর কূটনৈতিকপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
কাউসার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ইউনিয়নের দাড়েরপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হায়াত আলীর ছেলে। কাওসার একজন মানসিক রোগী। এমন পরিস্থিতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে জানান তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন।
নিলুফা জানান, তার স্বামীর ঘটনার বিষয়ে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রথমে ফোন করেন। সেই সময় তিনি জানান তার স্বামী কাওসার পুলিশ কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা করেছে। ওই মর্মে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তবে বিষয়টি তার ৮০ বছরের বৃদ্ধ শ্বশুর হায়াত আলীকে জানাননি তিনি।
ছেলের এমন ঘটনা শুনলে সহ্য করতে পারবেন না বলে জানানো হয়নি তাকে। বিষয়টি তার শ্বশুরকে না জানালেও তার শাশুড়ি মাবিয়া খাতুনকে জানান তিনি। মাবিয়া খাতুন তার ছেলের এমন ঘটনায় ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন তার ছেলে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে না।
কাওসারের স্ত্রী আরও জানান, কুরবানির ঈদে তার স্বামী বাড়ি আসবেন। এজন্য ছুটির আবেদনও করেছেন।
তিনি জানান, তার স্বামী একজন মানসিক রোগী। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে কাওসার পুলিশে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে তাদের বিয়ে হবার পর থেকে তিনি জানেন কাওসারের মানসিক সমস্যা রয়েছে। চাকরিরত অবস্থায় সরকারিভাবেই তাকে পাবনার মানসিক হাসপাতালে কয়েক দফা চিকিৎসা দেওয়া হয়। একবার চাকরি ছেড়ে চলেও আসেন বাড়িতে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার যোগদান করেন।
তবে কাওসার মানসিক সমস্যায় থাকলেও পরিবারে কখনো ঝামেলা ছিল না। সব কিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল। শনিবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ শুনতে পান এমন দুঃসংবাদ। অথচ শনিবার রাত ৮টার দিকেও তাদের কথা হয়েছে। শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গেও কথা বলেছে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসবে বলে। অপ্রত্যাশিত ঘটনায় সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেল।