রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আইন বিভাগের শিক্ষিককে হেনস্তার ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কার হওয়া সেই শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আশিক উল্লাহ আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশিককে মতিহার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
নগরীর মতিহার থানার ওসি আনোয়ার আলী তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্তকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দিকার করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার এজহারে অধ্যাপক আসমা সিদ্দিকা বলেন, ‘আশিক উল্লাহ নিজ ফেসবুক পেইজ ও সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটনা, মানহানিকর ও অশালীন উক্তি ও বক্তব্য প্রকাশ করার মাধ্যমে আমাকেসহ আইন বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দকে সামাজিক ও একাডেমিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে।’
‘এমনকি মুঠোফোনেও বিভিন্নভাবে হয়রানিও হুমকি প্রদান করায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে’ এ মামলা করেছেন বলে জানান তিনি।
ওই বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকালে অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দিকা একটি বর্ষের ক্লাস নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাকে বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে হেনস্তা করেন আশিক উল্লাহ। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে তার বহিষ্কারের দাবিতে বিভাগের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
প্রক্টরের তত্ত্বাবধানে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসন ভবনে নিয়ে গেলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তার বহিষ্কারের দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।