প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই সরকারের বাজেট কমানো ও সংস্কার পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছে আর্জেন্টাইনরা। রাজধানী বুয়েনস এইরেসে দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার আর্জেন্টাইন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে বাজেট সংকোচনের এই বিলটি পাশের জন্য উত্থাপিত হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই পদক্ষেপ লাখো আর্জেন্টাইনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিলটি বাতিলের দাবিতে, বিক্ষোভকারীরা পেট্রল বোমা ও পাথর নিক্ষেপ করে দাঙ্গা পুলিশকে লক্ষ্য করে এবং এটি রায়ট কারে আগুন লাগিয়ে দেয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গতকাল বুধবার রাতে বুয়েনস এইরেস যেন ‘রণক্ষেত্রে’ পরিণত হয়েছিল। এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ঠিক কতজন আহত হয়েছেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমগুলো।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই দেশটির অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে যে সংস্কার প্যাকেজ প্রস্তাব করেছেন তার মধ্যে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পেনশন হ্রাস এবং শ্রম অধিকার হ্রাস করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বামপন্থী রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনগুলো এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে।
মিলেইয়ের প্রস্তাবিত এই সংস্কার প্যাকেজটি প্রাথমিকভাবে আর্জেন্টাইন সিনেটে ৩৬-৩৬ ভোটে টাই ছিল। কিন্তু সিনেটের প্রধান ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিলারুল প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে সেটি প্রাথমিকভাবে গতকাল বুধবার পাশ হয়। আজ বৃহস্পতিবার বিলটির প্রত্যেকটি পয়েন্ট ধরে ধরে জরিপ করা হবে। এরপর তা চূড়ান্তভাবে পাশ হওয়ার জন্য নিম্নকক্ষে ফেরত যাবে।
সিনেটে বিলটি পাশের আগে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন—‘দেশ বিক্রির জন্য নয়, দেশ রক্ষার জন্য’, একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘একজন রাষ্ট্রপ্রধান কীভাবে নিজ রাষ্ট্রকেই ঘৃণা করতে পারেন?’ এ সময় বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে কংগ্রেসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। জবাবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর পিপার স্প্রে করলে তাঁরা পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে শুরু করে।