ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ বলে মনে করছে গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ)।
দলটি জানিয়েছে, ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে ২টি চুক্তি, ৫টি সমঝোতা স্মারক ও ৩টি চুক্তি নবায়নের বিষয় রয়েছে। জনগণের সম্মতি ছাড়া দেশবিরোধী এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করছে গণঅধিকার পরিষদ। এই চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
বুধবার বিকালে রাজধানীর পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।
দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতবার ভারত সফরে গেছেন, প্রতিবারই ভারতকে দিয়ে এসেছেন আর নিজে ফিরেছেন খালি হাতে। যে কথা তিনি নিজেই বলেছেন, ভারতকে যা দিয়েছি, ভারত আজীবন মনে রাখবে। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের মনে রাখার মতো কিছু আনতে পারেননি। ১৯৭৬ সালে নেপাল ও ১৯৮৪ সালে ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি করেও ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি না পাওয়ায় চুক্তি কার্যকর করা সম্ভবপর হয়নি। অথচ বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নৌ ও সড়কপথে অনেক আগে থেকেই ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে আসছে ভারত, এখন আবার যুক্ত হচ্ছে রেলপথ।’
রাশেদ বলেন, ‘আওয়ামী নতজানু সরকার তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের চুক্তি, সীমান্তে হত্যা বন্ধ ইত্যাদি বিষয়ে চুক্তি করতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। কানেকটিভিটির নামে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে ভারতের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত রেল যোগাযোগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগের সমঝোতা, কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতা, ওষুধ সংক্রান্ত সমঝোতা, বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতের অবাধ বিচরণ এবং ভারতের ইনস্পেস এবং বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা, রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা, সমুদ্রবিষয়ক গবেষণায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা ইত্যাদি ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন করেছে। ভারতকে সব সুবিধা প্রদানের বিনিময়ে কিছু অর্জন করতে না পারা ডামি সরকারের ব্যর্থ ও নতজানু পররাষ্ট্র নীতির বহিঃপ্রকাশ।’