পাবনার সুজানগরে অগ্রণী ব্যাংক নাজিরগঞ্জ শাখায় প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ব্যাংকের ক্যাশ কর্মকর্তাকে জোনাল কার্যালয়ে ক্লোজ এবং ম্যানেজারসহ দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে অন্য শাখায় বদলি করা হয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংক পাবনা জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক এইচএম জগলুল পাশা বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে জালিয়াতির ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগে জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংক নাজিরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা (ক্যাশ) কুদরত উলাহ পলাশ ৩ বছর আগে ওই শাখায় যোগদান করেন। তিনি একই উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন মাস্টারের ছেলে। পলাশ স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে গ্রাহকদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। এর সুযোগে তিনি গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে অর্ধশতাধিক গ্রাহকের জমা দেওয়া প্রায় কোটি টাকা আÍসাৎ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রাহকরা বিভিন্ন সময় ব্যাংকে টাকা জমা দিলেও ব্যাংক কর্মকর্তা (ক্যাশ) পলাশ উক্ত টাকা জমা রেজিস্ট্রার এবং হিসাব নম্বরে পোস্টিং না দিয়ে আÍসাৎ করেন। কিন্তু গ্রাহকদের বিশ্বাস রক্ষার জন্য স্বাক্ষর ও সিলমোহর দিয়ে তাদের জমা ভাউচার দিয়ে দিতেন। ফলে গ্রাহকদের পক্ষে টাকা আÍসাতের বিষয়টি আঁচ করা সম্ভব হয়নি। চলতি মাসের প্রথম দিকে সুজানগর উপজেলার নুরুদ্দিনপুর গ্রামের একজন গ্রাহক ও মেধা ট্রেডার্সের কর্ণধার উজ্জ্বল মৃধা ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে পলাশের কাছে ৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা জমা দেন। পলাশ যথানিয়মে তাকে জমা ভাউচারও দেন।
কয়েকদিন পর ওই গ্রাহক কিছু টাকা উত্তোলন করার জন্য ব্যাংকে চেক জমা দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকে তার কোনো টাকা জমা নেই। পরে ব্যাংকে গিয়ে জমা ভাউচার দেখালে প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর টাকা জমা দেওয়ার ভাউচার নিয়ে হাজির হতে থাকেন অর্ধশতাধিক গ্রাহক। প্রাথমিকভাবে ৬০ জন গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা আÍসাৎ করার ঘটনা ধরা পড়ে। গ্রাহকরা জানান, এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।