উদ্বোধনের পরদিনই বন্ধ হয়ে গেল ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন। বৃহস্পতিবার কোনো গরু-ছাগল বুকিং না হওয়ায় ট্রেনটি বন্ধ করে দিয়েছে রেল বিভাগ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার শহিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বুধবার ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালকুদার। শুক্রবার পর্যন্ত কুরবানির পশু রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত পরিবহনের জন্য চলাচলের কথা ছিল।
স্টেশনমাস্টার শহিদুল আলম বলেন, বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে স্বল্প ভাড়ায় কুরবানির পশু পরিবহণের জন্য ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে কোনো গরু-ছাগল বুকিং না হওয়ায় ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ট্রেন বন্ধের বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ক্যাটল ট্রেনের নিয়ম অনুযায়ী কুরবানিযোগ্য গরু-ছাগল পাঠাতে হলে ২৪ ঘণ্টা আগেই বুকিং দিতে হয়। কিন্তু আজকের (বৃহস্পতিবার) জন্য কোনো গরু-ছাগল বুকিং হয়নি। ফলে সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ক্যাটল ট্রেনটি আসার কথা থাকলেও তা আসেনি।
গত বছরের ন্যায় এবারো কুরবানির পশু পরিবহনের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে চালু হয় ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস। বুধবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১৮টি গরু ও ৪টি ছাগল নিয়ে ট্রেনটি রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে. চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে প্রতিটি গরু পরিবহনের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৯১ টাকা। প্রতিটি ওয়াগনে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল ১১ হাজার ৮৩০ টাকা।
কয়েকজন খামারি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় গরু পৌঁছলেও হাটে গরুগুলো পৌঁছাতে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। এছাড়া কুরবানির পশুগুলোকে হাটে নিতে কয়েকবার গাড়িতে উঠানামা করতে হয়। এতে গরুরও কষ্ট হয়, অন্যদিকে আমাদেরও ভোগান্তি এবং খরচ দুটোই বাড়ে। তাই ট্রেনে গরু পরিবহণ করে আমাদের পোষায় না।
২০২১ সালের ১৭ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রথম ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু হয়। ট্রেনটি ১৯ জুলাই পর্যন্ত গরু পরিবহন করে। উদ্বোধনের দিনে ৭৭টি গরু পরিবহণ করলেও পরের দুই দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কোনো গরু পরিবহন হয়নি ট্রেনটিতে। এর আগে ১৩ জুন তৃতীয়বারের মতো চালু হয় ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন। লোকসান ও আমের স্বল্পতার কারণে চালুর ১১ দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে যায় ট্রেনটি।