রাজশাহীতে এবার ঈদ-উল-আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায়। তবে বৃষ্টি হলে বা আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে একই সময় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) দরগা জামে মসজিদে।
আর সেই ক্ষেত্রে মানুষ বেশি হলে ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে দরগা মসজিদে পর পর ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (০৮ জুলাই) বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামীয়া শাহ মখদুম (রহঃ) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ শাহাদাত আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুফতি মোহাম্মদ শাহাদাত আলী বলেন, কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতে তিনি নিজেই ইমামতি করবেন। তাকে সহযোগিতা করবেন মহানগরীর হেতমখাঁ বড় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি ইয়াকুব আলী।
এদিকে, রাজশাহীতে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টা ও ৮টায় মহানগর ঈদগাহে (টিকাপাড়া)। বৃষ্টি হলে একই সময়ে পাশেই থাকা টিকাপাড়া মোহাম্মপুর জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া সকাল ৮টায় মহানগরীর তৃতীয় বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বড় মসজিদ সংলগ্ন সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে। এখানে প্রধান সড়কের ওপর একটিই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া রাজশাহীর ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়।
বৃষ্টি না হলে এবার ঈদ-উল-আজহার জামাত বেশিরভাগ এলাকায় ঈদগাহেই অনুষ্ঠিত হবে। তবে বৃষ্টি হলে প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য নিজ নিজ এলাকার মসজিদেই মুসল্লিদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জালাল আহমদ জানান, সুুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত আয়োজনের জন্য এরই মধ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বলে দেওয়া হয়েছে, সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটিই আলোচনা করে নিজ নিজ ঈদগাহের ঈদ জামাতের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা রাজশাহী জেলা প্রশাসন এবারও ঈদের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয়নি। মসজিদ কমিটি তাদের সুবিধামত নামাজের সময় নির্ধারণ করবেন। ঈদের আগের দিন মাইকিং করে জানিয়ে দেবে।