অবশেষে রাজশাহীর পুঠিয়ায় সেই শিশু (৮)কে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। রোববার মামলাটি সকালে করেছে ভিকটিমের বাবা বাবুল আক্তার। মামলার আসামী অপির কারিগর (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ। ওই শিশু খামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
গত বৃহস্পতিবার পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি খামারপাড়া গ্রামে ওই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
শিশুটির বাবা জানান , ওই শিশু ও অভিযুক্ত অপির কারিগর সম্পর্কে প্রতিবেশী চাচা ও ভাতিজি হয়। বৃহস্পতিবারে অপির কারিগর শিশুটিকে খাবার জিনিসের প্রলোভন দিয়ে বাড়ির পাশে একটি কচু ক্ষেতে ডেকে নেয়। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি আমরা আইনগতভাবে যেতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার অনুসারিরা বাধা দেন। পরে তারা শুক্রবার রাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতেই সালিশ বসায়। সেখানে অভিযুক্তকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং সে টাকা তারা ভাগ বাটােয়ারা করে নেয়।
তবে ভালুকগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা তাকবির হাসান বলেন, এটা একটা নরমাল বিষয়। তাই আমরা সামাজিক ভাবে সমাধান করেছি। বেশি কিছু হলে অভিযুক্তকে থানা পুলিশে দিতাম।
সালিশে কি রায় দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিচারের জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জরিমানার ৯০ হাজার টাকা এলাকার এতিমখানা, মসজিদ, মাদ্রাসা, ক্লাব ঘর ও সমাজপতিদের মাঝে সমবণ্টন করে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ভিকটিমের বাবা থানায় মামলা করেছে। আমরা আসামীকে আটক করেছি। নয়জন সালিসদারকে থানায় এনে এ ঘটনার তথ্য নিয়েছি। চেয়ারম্যান সাহেব অসুস্থ। তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।