অনুপ্রবেশের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী আরও চারটি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এর ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত ড্রোনের সংখ্যা সাতে দাঁড়িয়েছে।
নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী শিয়ালকোট সেক্টরে ড্রোন দুটি ভূপাতিত করেছে এবং আধুনিক ই ডব্লিউ ক্ষমতা ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আরও দুটি জব্দ করেছে দেশটি।
এর আগে, নিরাপত্তা বাহিনী বার্নালা, শকরগড় এবং কোটলি সেক্টরে সাঁজোয়া ড্রোন হেরনসহ তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারতের একাধিক স্থানে বিমান হামলার পরদিনই বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে জিও টিভি এবং রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী।
বিস্ফোরণটি কোথায় বা কীভাবে ঘটেছে, তা নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে এই বিস্ফোরণ এমন এক সময়ে ঘটল, যখন দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা নতুন করে তীব্র হয়েছে এবং সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কা জোরালো হয়েছে।
এর আগে বুধবার, ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের ভেতরে একাধিক স্থানে বিমান হামলার ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। পাকিস্তান পালটা জবাবের হুমকি দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে।
পাকিস্তানের বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে আঞ্চলিক উত্তেজনার কারণে লাহোর ও সিয়ালকোটের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আকাশপথ সাময়িকভাবে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নতুন করে জারি করা এক ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ (এনওটিএম)-এ জানানো হয়েছে, লাহোর ও সিয়ালকোট আকাশপথ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এয়ারস্পেস বন্ধ থাকায় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) একাধিক ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে। মদিনা থেকে লাহোরগামী একটি ফ্লাইট করাচিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একইভাবে, মুলতান থেকে লাহোরগামী অপর একটি ফ্লাইটও করাচিতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।