ভারতীয় গণমাধ্যমকে এক হাত নিলেন ঋত্বিক


, আপডেট করা হয়েছে : 11-05-2025

ভারতীয় গণমাধ্যমকে এক হাত নিলেন ঋত্বিক

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের উপস্থাপনের পদ্ধতি যেন বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটা আলাদা। সেখানকার সংবাদের অপপ্রচারসহ স্বাভাবিকভাবে কোনো ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করাটাই হচ্ছে তাদের কাজ। এটা তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অন ক্যামেরায় কখনো অতি উত্তেজিত হয়ে কিংবা চিৎকার করে, কখনো লাফিয়ে— এমনকি দৌড়েও সংবাদ পরিবেশন করতে দেখা যায় ভারতীয় সংবাদকর্মীদের।


কয়েক দিন আগে বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সরাসরি সার্কাস বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের সংবাদ পরিবেশনের ধরন দেখে যে অভিনেত্রী বিরক্ত, তা প্রকাশ করতেও দ্বিধাবোধ করেননি। অভিযোগ তোলেন যতসব ভুয়া ফুটেজ, ছবি দিয়ে তথ্যবিভ্রাট, অতিনাটকীয় শব্দগঠন এবং সংবাদকর্মীদের চিৎকার-চেঁচামেচি দিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর।


এর আগে শুক্রবার (৯ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিয়ে সামাজিক মাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেট অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের সংবাদমাধ্যম বিশ্বাসযোগ্য সংবাদকক্ষ না হয়ে কার্টুন নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে।


সম্প্রতি যুদ্ধ আবহে এমন নানা নজির দেখিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। আর তা নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি করছেন নেটিজেনরা। তারকাঙ্গনও একরকম বিরক্ত ভারতীয় মিডিয়ার এহেন কর্মকাণ্ডে। এমন উত্তপ্ত আবহের সুযোগ নিতে গিয়ে ইন্টারনেট থেকে নেওয়া কিছু ভুয়া ভিডিও ও ছবি নিয়ে দেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো পাকিস্তানে হামলার দৃশ্য বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে বিপাকেও পড়েছে সেই মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলো। মূলত তা নিয়েই সোনাক্ষী সিনহা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিয়ে এমন তোপ দাগেন। এবার একই বিষয় নিয়ে মিডিয়ার ওপর তোপ দাগলেন বাংলার অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। রসিকতা ও সমালোচনা করতে করতে ভারতীয় গণমাধ্যমকে রীতিমতো ধুয়ে দিলেন অভিনেতা।


সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ঋত্বিক লিখেছেন—আমাদের এখানে নিউজ চ্যানেলগুলো কি ভালো ফিকশন কন্টেন্ট বানাচ্ছে। মিউজিক ডিরেকশন আর ভিএফএক্সে ক্রিয়েটিভিটির অভাব থাকলেও সঞ্চালকের প্রাণঢালা অতি-অভিনয় মনে রাখব অনেক দিন বলে জানান অভিনেতা।


ঋত্বিক চক্রবর্তীর এ কথায় নেটিজেনরাও অভিনেতার সঙ্গে তাল মেলান। এক নেটিজেন লিখেছেন—প্রতিটি ছায়াছবির ভিএফএক্স, সঞ্চালকের অভিনয় এবং সাইরেনের আবহসংগীত মন কাড়ছে। আপামর জনগণকে বাংলা নিউজ ইন্ডাস্ট্রির পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি। আরেক নেটিজেন লিখেছেন—তাও ভিডিও গেমের ফুটেজ দিয়ে।


নেটিজেনদের এসব মন্তব্য বেশ উপভোগ করছিলেন অভিনেতা। তাই সমালোচনা কিংবা রসিকতা শুধু একটি পোস্টেই সীমাবদ্ধ রাখেননি ঋত্বিক চক্রবর্তী। যদিও শ্রোতা-দর্শকদের সমালোচনা করার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে।


অন্য আরেক নেটিজেন লিখেছেন— ‘অতিচিৎকার... আর কি স্বরক্ষেপন! মনে হচ্ছে না স্টুডিওতে, যেন খোলা মাঠে খবর শোনাচ্ছে, না চেঁচালে কেউ শুনতে পাবে না। আরেক নেটিজেন লিখেছেন— জল ঘোলা, মাছও প্রচুর, মিডিয়ার দোষ নেই। সেখানেও উত্তর দেন ঋত্বিক।’ তিনি বলেন, জল ঘোলা, প্রচুর মাছ, আর মিডিয়া চন্দনে চোবানো তুলসীপাতা।


প্রসঙ্গত, মিডিয়ার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ ঋত্বিক চক্রবর্তীর জন্য নতুন নয়। এর আগে মলম বিক্রেতাখ্যাত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জনের ওপর তোপ দাগিয়েছিলেন অভিনেতা। সামাজিক মাধ্যমে তাকে ‘গাধা’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। যদিও নেটিজেনরা অভিনেতার এ মন্তব্যের সঙ্গে একমত হন।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার