রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে সাংবাদিকদের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী টেলিভিশন ক্যামেরা সংবাদকর্মীরা। শুক্রবার (২৭ মে ) সকালে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় রাজশাহীতে কর্মরত সংবাদকর্মীরা মহানগর ও জেলা বিএনপির আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে হামালার শিকার ছয়জন সাংবাদিক এর উপর হামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন।
৭২ ঘন্টর মধ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে ও বিবৃতী দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথায় বিএনপির নিউজ বয়কট করা হবে বলে হুসিয়ারী দেন তারা।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন, চ্যানেল ২৪-এর ক্যামেরাপার্সন আক্তারুজ্জামান লেলিন, সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন আবদুস সালাম, দীপ্ত টেলিভিশনের রফিকুল ইসলাম, এসএ টিভির ক্যামেরাপার্সন আবু সাঈদ, জিটিভির ক্যামেরাপার্সন খোকন এবং নিউজ২৪ এর ক্যামেরাপার্সন বাপ্পী।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন যমুনা টেলিভিশনের ব্যুরো চিফ শিবলি নোমান, নিউজ ২৪ টেলিভিশনের ষ্টাফ রির্পোটার কাজী শাহেদ,রাজশাহী টেলিভিশন জানালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ষ্টাফ রিপোর্টার মাইনুল হাসান জনি, রাজশাহী ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনরে সভাপতি আসাদুজ্জান আসাদ, আহত সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান লেলিন, নিউজ ২৪ এর সামিউল হাসান বাপ্পি,মাছরাঙা টেলিভিশনের মাহফুজুর রহমান রুবেল।
এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন আব্দুল জাবীদ অপু,শহিদুল ইসলাম দুখু ,মোস্তাফিজুর রহমান মিশু,মোস্তাফিজুর রহমান সোহান, সুমন শেখ, রায়হানুল ইসলাম সহ সংবাদকর্মী বৃন্দ। মানব বন্ধনে সভাপত্ত্বি করেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ভিডিওগ্রাফার জাফর ইকবাল লিটন।
এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তাঁর সামনেই সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করা হয়। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি দোষিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেছেন, ‘সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমি ক্ষমা চাই। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে বুঝতে পারছি না। বিএনপি একটি বৃহৎ দল। ভুলত্রুটি হতেই পারে। আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আমার ছোট ভাইদের।’