বিদায়ের আগে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তায় বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেট- এ তিন বিভাগের কোনো কোনো স্থানে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
যদিও এখন রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি। রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রামের বেশির ভাগ স্থানেও ছিল বৃষ্টি। তবে ঢাকা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগ বৃষ্টিহীন।
বৃষ্টি না থাকায় ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ। তবে বৃষ্টি বাড়লে জনজীবনে স্বস্তি ফিরতে পারে।
বর্ষাকালের বৃষ্টি ঝরানো দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চলতি মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে দেশ থেকে বিদায় নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানান, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; বরিশাল, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও ঢাকা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এসময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, পরবর্তী তিনদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দেখাতে বলা হয়েছে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত।