রাজধানীর শাহজাহানপুর থানাধীন এলাকায় দাম্পত্য কলহের জের ধরে শরীরে আগুন দিয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ। তার নাম পাপিয়া সারোয়ার মিম (১৮)। তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে গুলবাগ ঝিলপার এলাকার একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মিমের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার চিকিৎসা চলছে।
মিম ঢাকা সিটি ইন্টারন্যাশনাল কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলায়। বাবার নাম আরশাদ মিয়া এবং মা পারভীন। বাবা একজন ডিম ব্যবসায়ী। পরিবারের তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় মিম।
দগ্ধ মিমের মা পারভীন বলেন, ‘আমার মেয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিন বছর আগে ফ্লেক্সিলোড (মোবাইল রিচার্জের দোকান) ব্যবসায়ী রামিমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রামিমের চরিত্র ভালো না। বিয়ের পরও অন্য মেয়েদের নিয়ে ঘোরাফেরা করত। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের সংসারে কলহ চলছিল। কারণে-অকারণে মিমকে নির্যাতন করত রামিম। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই মিম শরীরে আগুন দিয়েছে। এক বছর আগেও হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল মিম।’
মিমের স্বামী রামিম বলেন, ‘শুক্রবার রাতে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। আমি তাকে সন্দেহ করতাম। এ কারণে আমার স্ত্রী নিজের শরীরে আগুন দিয়েছে। দগ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে খিদমা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে বিকাল আড়াইটায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়।’
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মিমের স্বামী রামিমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাহজাহানপুর থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।