ইউক্রেনের ন্যাটো নেতৃত্বাধীন মিত্র দেশগুলো কিয়েভে উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে। রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এ ঘোষণা দিল ইউক্রেনের ন্যাটো মিত্ররা।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডস ইউক্রেনকে যেসব অস্ত্রের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার রয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র একই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এ ছাড়া জার্মানির একটি হাইটেক সিস্টেম ইতোমধ্যে ইউক্রেনে রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটো সদরদপ্তরে ইউক্রেনের ৫০ দেশের মিত্ররা একটি বৈঠকে মিলিত হয়। আর সেখানেই রুশ আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য অস্ত্র সহায়তার এ অঙ্গীকার করা হয়। কিয়েভ এ বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অবিহিত করেছে।
ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া সোম ও মঙ্গলবার শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং কয়েক ডজন ড্রোন ব্যবহার করেছে। এসব হামলায় জ্বালানি অবকাঠামো এবং অন্যান্য বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছেন রুশ সেনারা।
গত সোমবার রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রথম দিনে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। ফলে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং একই সঙ্গে পানি সরবরাহও বিঘ্নিত হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী কিয়েভের কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুতের রেশনিং চালু করতে হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যম বলছে, বুধবার ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টল্টেনবার্গ বলেন, ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এটি আমাদের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।