উইকেট বাঁচিয়ে পরে মারকুটে ব্যাটিং করে সংগ্রহ বাড়িয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামেন বাবর আজম।
কিন্তু সেই পরিকল্পনার উল্টোটাই ঘটল। ১২ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ ১০০ রানে পৌঁছাতে পারল না। অথচ টপঅর্ডারের ৪ জন হাওয়া।
একে একে ফিরে গেছেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ হারিস, বাবর আজম ও ইফতেখার আহমেদ।
এক আদিল রশিদেই কাঁপছে পাকিস্তান। এ চার উইকেটের মধ্যে দুটি তার শিকার। বাকি দুই নিয়েছেন স্যাম কুরান ও বেন স্টোকস।
১০তম ওভারে স্টোকসের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে ব্যাট ছোঁয়ালেও টাইমিং হয়নি ইফতেখারের। ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটকিপার বাটলারের গ্লাভসে।
শূন্য রানে ফিরেছেন ইফতেখার।
তার আগের ওভারে আদিল রশিদের দারুণ এক ডেলিভারিতে আউট হয়েছেন বাবর আজম।
সামনে থেকে দলকে পথ দেখানোর চেষ্টায় ছিলেন বাবর। কিন্তু পাকিস্তান অধিনায়ককে টিকতে দিলেন না আদিল রশিদ। তার চমৎকার গুগলি ও দারুণ ক্যাচে ফিরলেন বাবর।
ম্যাচে নিজের প্রথম বলে উইকেট নেওয়া তৃতীয় ওভারে এসে করলেন দুর্দান্ত বোলিং। কোনো রান না দিয়ে ধরলেন প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যানের শিকার।
দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলটি গুগলি করেন রশিদ। বল বুঝতে না পেরে কী শট খেলবেন যেন দ্বিধায় ছিলেন বাবর। শেষ পর্যন্ত জায়গা বানিয়ে খেলতে চান তিনি লেগে। কিন্তু টার্নের জন্য ব্যাটে ঠিকমতো খেলতে পারেননি। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে বোলার দিকে আসে। সামনে ঝাপিয়ে পড়ে বল মুঠোয় জমান রশিদ।
২ চারে ২৮ বলে ৩২ রান করে ফিরলেন বাবর। ওই ওভারের বাকি পাঁচ বল খেলে কোনো রানই করতে পারেননি ইফতিখার আহমেদ।
এর আগে রিজওয়ান ও হারিসকে হারায় পাকিস্তান। যে কারণে পাওয়া প্লে’তে আসে মাত্র ৩৯ রান।
হারিসের বিদায়ে ওপেনার বাবরের সঙ্গী হন শান মাসুদ। ১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান।
খেলার এ পর্যায়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৪ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৯ রান।