ভালোবাসা দিবসে যে বার্তা দিলেন জয়া আহসান


, আপডেট করা হয়েছে : 14-02-2023

ভালোবাসা দিবসে যে বার্তা দিলেন জয়া আহসান

বয়স তার কাছে পাত্তা পাচ্ছে না, নতুন ছবিতে নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন জয়া আহসান। বসন্ত শুরুর ঠিক আগের দিন হলুদ শাড়িতে জয়া আগুনরাঙা বসন্ত হয়েই যেন বসন্তকে বরণ করলেন। মুগ্ধতা ছড়ালেন ছবিতে, হলুদে।

মঙ্গলবার জয়া দিলেন ফেসবুকে ভালোবাসার বার্তা। বললেন,  ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক। হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীতে একটি দিনও নিজেদের ভালোবাসার প্রয়োজনের কথা, ভালোবাসার মানুষকে মনে করার কথা মন্দ কী!

বার্তার শুরুতেই জয়া লেখেন— কাল ছিল বসন্তের শুরু। আজ ভ্যালেন্টাইন। ভালোবাসার সঙ্গে রাখি বেঁধে রাখা দুটি দিন।

ভালোবাসার এ দিনটি নিয়ে নায়িকার ভাষ্য— কোনো একটি দিনেই সরবে ঘোষণা দিয়ে ভালোবাসার কথা হয়তো বড্ডই অকিঞ্চিৎকর। ভালোবাসা তো চির বসন্তের মতো সব সময়েই আমাদের মনে জাগিয়ে রাখার কথা। সেটিই সংগত। তবু হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীতে একটি দিনও নিজেদের ভালোবাসার প্রয়োজনের কথা, ভালোবাসার মানুষকে মনে করার কথা মন্দ কী!

জয়ার কথায় ভালোবাসাই হচ্ছে নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক। অভিনেত্রী বলেন, ভালোবাসার মধ্যে আছে কাউকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়ার আনন্দ। এই যে নিজের চেয়ে আরেকজনকে বড় করে ভাবা, আরেকজনের আনন্দের মধ্যে নিজের আনন্দকে পাওয়া, আরেকজনকে দিয়ে নিঃশেষ হয়েও নিজেকে পূর্ণ বলে অনুভব করা—ভালোবাসাই তো সেটি দিতে পারে। ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক।

ভালোবাসা শিখতে হয়। উপলব্ধি করতে হয় মন থেকে। এই ভালোবাসার কল্যাণেই বিরহ বেদনার ছায়া নেমে যেতে পারে পৃথিবী থেকে। 

জয়া বলেন, আমরা যদি সত্যই ভালোবাসতে শিখি, তা হলেই পৃথিবীর বেদনার বড় ছায়াটা সরে যায়। ফুটপাতে যে বৃদ্ধাটা রাতের বেলা শীতে কাঁপছে তার জন্য ভালোবাসা; বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত যে কিশোরিটি ঘরের কোণে আত্মহত্যায় উদ্যত তার জন্য ভালোবাসা; ভূমিকম্পের তুরস্কে মা–বাবাকে হারানো যে সদ্যোজাত শিশুটি ভগ্নস্তূপ থেকে উদ্ধার পেল তার জন্য ভালোবাসা; মন্দির চূর্ণ করে দেওয়ার পর সেখানে মাথা ঠুকছেন যে পূজারি তার জন্য ভালোবাসা।

সব শেষে জয়া শেষ করলেন ‘আমরা ভালোবাসি’ বাক্যটি দিয়ে।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার