‘সাফ ফুটবলের চেয়েও বড় আয়োজন বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট। কারণ সাফে খেলে থাকে সাতটি দেশ। আর এই টুর্নামেন্টে খেলছে ১২টি দেশ। বঙ্গবন্ধুর নামে এই টুর্নামেন্ট চালু করার জন্য আমি কাবাডি ফেডারেশনের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই’।
সোমবার শহিদ নুর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কাবাডি আমাদের দেশের জাতীয় খেলা। এই খেলাটিকে ধীরে ধীরে প্রমোট করা হচ্ছে। এজন্য ধন্যবাদ ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা গত ১৪ বছরের খতিয়ানে দেখতে পাবেন, আমরা এই সময়ে প্রতিটি খেলা, সেটি ফুটবল বলুন, ক্রিকেট বলুন, কাবাডি বলুন, সব ক্ষেত্রেই আমরা সাফল্য পেয়ে চলেছি। গত বছরও এই টুর্নামেন্টে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।’
এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও পুলিশের উপমহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান এবং যুগ্ম সম্পাদক ও পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক গাজী মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও পুলিশের উপমহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির প্রথম আসরে ৫টি, দ্বিতীয় আসরে আটটি এবং এবার তৃতীয় আসরে দলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২টিতে। ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নামের এই টুর্নামেন্ট। এখন আমরা বলতেই পারি, বর্তমান সময়ে বিশ্বে কাবাডির সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক আসর এটি।’
ফেডারেশনের সভাপতি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডিতে অংশ নিতে আসা সব দেশের খেলোয়াড়দের আমি অভিনন্দন জানাই।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে ১২ দেশের জনপ্রিয় সংগীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশিত হয়।