পাবনায় অর্থ আত্মসাত মামলায় দুদকের এজাহারভুক্ত আসামী অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির মজমুদারকে জিজ্ঞাসাবাদ


, আপডেট করা হয়েছে : 29-03-2023

পাবনায় অর্থ আত্মসাত মামলায় দুদকের এজাহারভুক্ত আসামী অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির মজমুদারকে জিজ্ঞাসাবাদ

পাবনায় সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অর্থ আত্মসাত মামলায় এজাহাভুক্ত আসামী অধ্যক্ষ মোঃ হুমায়ুন কবির মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেন জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়। ২২ মার্চ (বুধবার) এক চিঠিতে ২৯ মার্চ (বুধবার) সকাল ১০ টায় তাকে দুদক পাবনা জেলা কার্যালয়ে তলব করা হয়।


মামলার আসামীকে ১০টা থেকে বিকেল সারে ৩টা পর্যন্ত মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্র ধর। এর পরে দুদকের জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ খায়রুল হকের সাথে রুদ্ধদার বৈঠকের পরে তিনি বেরিয়ে আসেন। তবে এই বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে কথা বলতে রাজি হয়নি উপপরিচালক।

তবে তিনি মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন যে, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হয়েছে বলেই দুদকে মামলা দায়ের হয়েছে। আর এই মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামী পক্ষের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ প্রসঙ্গে তাকে ডাকা হয়েছিলো। এই মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাবাদ করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রতই এই মামলার চার্চশীট প্রদান করা হবে। মামলার সকল তদন্ত কার্যক্রম সমাপ্ত হলে গণমাধ্যম কর্মীদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানানে হবে বলে জানান তিনি।


এদিকে জিজ্ঞাবাদ শেষে দুদক কার্যলয় থেকে বের হওয়ার পরে মামলার অভিযুক্ত আসামী কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ হুমায়ুন কবির মজুমদারকে মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে দ্রæত গাড়িতে উঠে দুদক কার্যালয় ত্যাগ করেন। তবে এই তদন্ত কার্যক্রম বা জিজ্ঝাবাদের সময় তদন্তকারী কর্মকর্তার কক্ষে অধ্যক্ষের সঙ্গে কলেজের আরো দুইজন শিক্ষক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে দেয়া তথ্য মতে, ২০১৬/২০১৭  অর্থ বছরে কলেজ তহবিলের বিভিন্ন খাত হতে প্রায় ২ কোটি টাকার আত্মসাতের অভিযোগ উঠে অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির মজুমদারের বিরুদ্ধে। এরই আলোকে দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা কার্যালয় পাবনা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। দীর্ঘ দিনের তদন্ত কার্যক্রম শেষে ২০২১ সালে জুন তার বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত হয়। দুদকের প্রাথমিক তদন্তে ৫৬ লক্ষ ৮ হাজার ৮৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মিলেছে বলে জানা গেছে।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার